দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজীব কুমারের কোনও খোঁজ নেই। সিবিআইকে এমনই জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে খবর, শুধু ডিজি নন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিবও চিঠি পাঠিয়েছেন সিবিআইকে। রবিবার ও সোমবার তিন প্রশাসনিক কর্তাকে সিবিআইয়ের তরফে রাজীবের খোঁজ জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। তারই জবাব পাঠানো হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ডিজি তাঁর চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজীব কুমারের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশও। রাজীব ও তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে ডিজি লিখেছেন, সিবিআইয়ের পাঠানো চিঠি ইতিমধ্যেই রাজীবের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি নিয়েছেন রাজীব। ছুটি শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
শুক্রবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পরেই শনিবার তাঁকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু সারদাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি রাজীব। এদিন রাজীবের আইনজীবী বারাসত আদালতে আগাম জামিনের মামলা করেছেন। অন্য দিকে, সিবিআই এদিন সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে।
রাজীবকাণ্ডে এবার সিবিআই অফিস গেল খামে ভরা ডিজির জবাব
রাজীব কুমার কোথায়? সিবিআইয়ের কাছে এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। উত্তর পেতে রাজ্য প্রশাসনের উপরেই নির্ভর করছেন গোয়েন্দারা। রবিবার ছুটির দিনেই নবান্নে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেন সিবিআই প্রতিনিধিরা। সোমবার ডিজির তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সিবিআই দফতরে। সূত্রের খবর, রবিবারের চিঠিরই জবাব পাঠিয়েছেন ডিজি বীরেন্দ্র। এদিন সেই চিঠি সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে পৌঁছে দিয়ে আসেন বিধাননগর কমিসনারেটের পুলিশ।
শুক্রবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পরেই শনিবার তাঁকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু সারদাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি রাজীব।
এদিকে রাজবী কুমার ও তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীর মোবাইল ফোন সুইচড অফ। রবিবার যে চিঠি ডিজিকে পাঠানো হয় তা এরই পরিপ্রেক্ষিতে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। শুধু ডিজিকেই নয়, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবকেও রাজীব কুমারের অবস্থান জানতে চিঠি দেয় সিবিআই। রবিবার সেই চিঠি নবান্ন নিতে না চাওয়ায় সোমবার সকালে তা পৌঁছে দেয় সিবিআই।
এদিন ডিজি তাঁর চিঠিতে কী লিখেছেন তা জানা না গেলেও সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবারের চিঠিরই জবাব মিলেছে। সিবিআইয়ের দাবি, রাজীব কুমার এখন কোথায় আছেন তা রাজ্য প্রশাসনের জানার কথা। কারণ, কোনও আইপিএস অফিসার ছুটিতে থাকলে তিনি কেন ছুটি নিয়েছেন বা ছুটির সময় তিনি কোথায় থাকবেন তা রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়ে যাওয়ার নিয়ম।