দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:বুধবার বোনকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিলেন রাহুল গান্ধী। সেইসঙ্গেই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অামেঠিতে রাহুল বলেছেন, প্রিয়াঙ্কাকে সাধারণ সম্পাদক করে তিনি উত্তরপ্রদেশকে একজন (‌ভাবী)‌ মুখ্যমন্ত্রী দিলেন। অনেকেই প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের ‘‌ট্রাম্পকার্ড’‌ বলে মনে করছেন। তিনি এসে গেছেন,

খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে কংগ্রেস নেতা–‌কর্মী–‌সমর্থকরা নতুন করে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। বিশেষ সূত্রের খবর, তাঁর রাজনীতিতে আসার ঠিক একদিন আগেই দিল্লিতে অমিতাভের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা। এরপরই অর্থাৎ বুধবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বোনের রাজনীতিতে আসার খবর ঘোষণা করেন। প্রায় ১৮ বছর পর এই ঘটনা দিয়েই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের সম্পর্ক আবার শুরু হয়। ঠিক তখনই, যখন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এটা প্রায় সকলেই জানেন যে গান্ধী–বচ্চনের মতো প্রসিদ্ধ দুই পরিবারের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ২০০০ সালে। কিছুটা ব্যক্তিগত কারণেই এই দুই পরিবারের মধ্যে ভাঙন ধরেছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও একসময় প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে একরকমভাবে ভেঙে গিয়েছিলেন অমিতাভ।

দিল্লিতে রাহুল গান্ধী, বোন প্রিয়াঙ্কা এবং মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছেন সস্ত্রীক অমিতাভ বচ্চন, পুত্র অভিষেক ও বউমা ঐশ্বর্য। অসমর্থিত সূত্রের খবর, অমিতাভ তথা মামুনের সঙ্গে শলা–পরামর্শ করার পরই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতিতে আসতে রাজি হয়েছেন। সম্প্রতি ডানপন্থী সংগঠনের কাছ থেকে অমিতাভ তাঁর স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য অনবরত সমালোচিত হচ্ছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও যখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা–পরিচালকরা গিয়েছিলেন, সেখানেও দেখা যায়নি বিগ বিকে। এর আগেও ৪৩ বছর আগে তাঁকে এরকমই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। ১৯ মাস ধরে চলা জরুরি পরিস্থিতির সময় তিনি সঞ্জয় গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময়ই কিশোর কুমারের ওপর অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দুরদর্শন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়াও অভিনেতা প্রাণ ও দেব আনন্দ সরকার বিরুদ্ধ কথা বলায় তাঁদের তীব্র নিন্দা করে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। কিন্তু নীরব ছিলেন অমিতাভ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিংবদন্তী অভিনেতার সঙ্গে কংগ্রেসের পারিবারিক বন্ধুত্ব থাকায় তিনি এই পরিস্থিতিতেও তাই চুপ করেছিলেন।

তবে ২০০০ সালের বিচ্ছেদের পর অনেকেই আশাবাদী ছিলেন গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের আবার বন্ধুত্ব হবে। আর সেই বিষয়টি বাস্তবে রূপ নিল। এর আর্শীবাদ নিয়েই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। বুধবারই কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এই ঘোষণার কিছু পরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, নেতা হিসাবে রাহুল ফেল। উপায় না দেখে কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কাকে রাজনীতিতে এনেছে।

এর আর্শীবাদ নিয়েই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। বুধবারই কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এই ঘোষণার কিছু পরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, নেতা হিসাবে রাহুল ফেল। উপায় না দেখে কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কাকে রাজনীতিতে এনেছে।

বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসকে মহাগঠবন্ধনে নেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় রাহুলের একজন ক্রাচ দরকার। প্রিয়ঙ্কা সেই ভূমিকা পালন করবেন।প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে আসার খবর শুনে বিজেপির মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ প্রশ্ন তোলেন, তাঁকে কেবল উত্তরপ্রদেশের পুর্বাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? তাঁর কথায়, প্রিয়ঙ্কাজি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। কংগ্রেসে একটি পরিবার থেকেই নেতা হয়। তাই প্রিয়ঙ্কা সাধারণ সম্পাদক হবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন আছে। তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মতো ওইটুকু জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? তাঁর যা ব্যক্তিত্ব, তাতে আরও বড় ভূমিকা পাওয়ার কথা ছিল।

বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসকে মহাগঠবন্ধনে নেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় রাহুলের একজন ক্রাচ দরকার। প্রিয়ঙ্কা সেই ভূমিকা পালন করবেন।প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে আসার খবর শুনে বিজেপির মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ প্রশ্ন তোলেন, তাঁকে কেবল উত্তরপ্রদেশের পুর্বাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? তাঁর কথায়, প্রিয়ঙ্কাজি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। কংগ্রেসে একটি পরিবার থেকেই নেতা হয়। তাই প্রিয়ঙ্কা সাধারণ সম্পাদক হবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন আছে। তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মতো ওইটুকু জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? তাঁর যা ব্যক্তিত্ব, তাতে আরও বড় ভূমিকা পাওয়ার কথা ছিল।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে আসার খবর শুনে বিজেপির মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ প্রশ্ন তোলেন, তাঁকে কেবল উত্তরপ্রদেশের পুর্বাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? তাঁর কথায়, প্রিয়ঙ্কাজি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। কংগ্রেসে একটি পরিবার থেকেই নেতা হয়। তাই প্রিয়ঙ্কা সাধারণ সম্পাদক হবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন আছে। তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মতো ওইটুকু জায়গার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন? তাঁর যা ব্যক্তিত্ব, তাতে আরও বড় ভূমিকা পাওয়ার কথা ছিল।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা বলেন, গান্ধী কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেডের ঐতিহ্য মেনেই চলছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। এই প্রথমবার কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নিল, তারা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভরসা করতে পারছে না।

প্রিয়ঙ্কার রাজনীতিতে আসার খবর শুনে টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেডি ইউ-এর নেতা প্রশান্ত কিশোর। তিনি ২০১৪ সালের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হয়ে নির্বাচনী কৌশল স্থির করেছিলেন। পরে বিহারে নীতীশ কুমার এবং উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হয়েও কৌশল তৈরি করেছেন। তিনি বুধবার টুইট করেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে আসার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল। তিনি এই সময়েই কেন রাজনীতিতে এলেন, তাঁকে ঠিকঠাক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু বড় খবরটা হল এই যে, তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।

রায়বরেলির মানুষকে গান্ধী পরিবার ভুলে যায়নি। সেকথা মনে করিয়ে দিয়েই কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করলেন দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব নিয়েই আগে রায়বরেলির মানুষের আশীর্বাদ নিতে আসবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বুধবারই সক্রিয় রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার প্রবেশের কথা ঘোষণা করেন রাহুল। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁকে বসানোর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ পূর্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোদি এবং যোগী আদিত্যনাথের গড় সামলানোর গুরু দায়িত্ব বোন প্রিয়াঙ্কার হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন রাহুল। যাকে বলে এক কথায় কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here