দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ “সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে উত্থানে মোহর দিদির ” মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটি প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়েই পড়েছিল। সেই শূন্যস্থান ভরাট হল এতদিনে। যুব তৃণমূল সভাপতির পদ ছেড়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলে বড়সড় রদবদল! একুশের জয়ের পর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্যত তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ পদে অভিষেক। শনিবার তৃণমূল যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনেই অভিষেক ইস্তফা দিয়েছেন। তৃণমূল যুব সভাপতি করা হল সায়নী ঘোষকে।
শনিবার দুপুরে তপসিয়ায় তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠক বসে। অভিষেকের সাংগঠনিক উত্থানের ব্যাপারে সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও সুব্রত বক্সী।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্যে অভিষেক অন্যতম কাণ্ডারী বলে মনে করে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এমনকী, নির্বাচনী প্রচারে অভিষেককে নিশানা করেছেন মোদী-শাহরাও। একুশের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষেককে যে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
Congratulations to @abhishekaitc for well-deserved recognition.😇Trinamool Congress appoints this two-term MP and former Youth Wing President as party’s NEW All India General Secretary. Am supremely confident he will continue to build on his remarkable record of public service
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) June 5, 2021
অন্যদিকে, আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে লড়েছিলেন সায়নী ঘোষ। কিন্তু, ভোটে হেরে যান তিনি। সায়নীকে এবার তৃণমূলের যুব সভাপতি করা হল।মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। এই প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, ‘আমরা দলের কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করেন, সেইভাবে কাজ করব’। অভিষেক প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, ‘অভিষেক যেভাবে যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন, তাতে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সুখবর। ওঁর রাজনৈতিক পরিপক্কতা রয়েছে। ভালোভাবে দল সামলাতে পারবে’। কাকলি আরও বলেন, ‘মানুষের পাশে আরও যাতে থাকা যায়, সেই বার্তাই দিয়েছেন নেত্রী’।
জানা যাচ্ছে, কথায় কথায় লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহারপ করা যাবে না বলে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।
তৃণমূলে রাজ্য সম্পাদকের পদে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের কালচারাল প্রেসিডেন্ট করা হল রাজ চক্রবর্তীকে।বঙ্গজননীর সভানেত্রী করা হয়েছে মালা রায়কে। শ্রমিক সংগঠনের প্রধান করা হল ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী করা হয়েছে দোলা সেনকে। কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হল পূর্ণেন্দু বসুকে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হল কুণাল ঘোষকে।