দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ দিল্লি থেকে শনিবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে অর্জুন সিং সোজা চলে আসেন ভাটপাড়ার মেঘনা মোড়ের মজদুর ভবনের বাড়িতে। সেখানে কয়েক হাজার অনুগামী তাঁকে মালা পরিয়ে গেরুয়া আবিরে রাঙিয়ে বরণ করে নেন । ততক্ষণে মজদুর ভবনের সামনে বিজেপি কর্মীরা ব্যস্ত দলীয় নেতার সঙ্গে দেখা করতে।
দিল্লি থেকে ভাটপাড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরেই অর্জুন সিং বলেন স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছি। মুক্ত হলাম। এদিন তিনি মজদুর ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন সদ্য বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন দলের অন্দরে বঞ্চিত ছিলাম। আমার উপর নানা বিষয় নিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। সম্প্রতি দেশের জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনার পর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্য আমাকে মন থেকে কাঁদিয়ে দিয়েছে। ভাবলাম কোন দলে আছি আমি। ভোটের টিকিটের বিষয় নয়।
দলের বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে আমি তৃণমূল ছেড়েছি । তবে বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট দিলে নিশ্চই লড়ব।’’ যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই শিরোধার্য বলে দাবি অর্জুনের।
শনিবার সকাল থেকে ভাটপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অর্জুনবাবুর মজদুর ভবনেও হামলা চালিয়েছে। অর্জুন সিং এই হামলা সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমার লোকদের উপর এমনকী আমার বাড়িতে ওরা হামলা করেছে। সেই সময় আমার দুই মেয়ে, নাতি ঘরে ছিল। পুলিশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে নতুন তৃণমূলে যোগ দেওয়া কিছু দুষ্কৃতী এই হামলা করেছে।
পুলিশকে বলছি নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করুন। জনগনের টাকায় বেতন নেন। আমাকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না। আমি সিপিএমের আমল থেকে আন্দোলন করে উঠে এসেছি । এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে এলাকায় আন্দোলন হবেই।
পাশাপাশি অভিষেকের কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না বলে দাবি করেন ভাটপাড়ার এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর মন্তব্য,
‘‘ও রাজনীতিতে বাচ্চা ছেলে। ওর যা বয়স ততদিন আমি রাজনীতি করছি। ভোটে দাঁড়ালে কী ফলাফল হবে, সেটা গণনার দিন দেশের মানুষ দেখতেই পাবেন। ভাটপাড়া পৌরসভায় কোনও পরিবর্তন হবে না। আমি যেদিকে থাকব প্রয়োজনীয় কাউন্সিলররা সেদিকেই থাকবে।’’
আমি রাস্তায় নেমে রাজনীতি করব।
বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই সরকারের স্বৈরাতন্ত্র বেশিদিন চলবে না। নাম না করে তৃণমূলের প্রাক্তন সহকর্মীদের সম্পর্কে অর্জুন সিং বলেন, ‘’যারা আজকে আমার বদনাম করছে, কয়েকদিন পর তাঁরাও তৃনমূল দল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। তারাও সামনে সব বলতে পারে না। তাদের ভিতরেও অনেক চাপা ক্ষোভ আছে শুধু সময়ের অপেক্ষা।