দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অনেকেই উঁচু পদ পান। ক্ষমতাও অনেকেই পান। কিন্তু ক্ষমতাশালী হয়েও কী রকম আচরণ করতে হয়, তা গুলাম নবিজির কাছে সকলের শেখা উচিত। মঙ্গলবার রাজ্যসভা থেকে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে বিদায় জানাতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস নেতাকে বিদায় জানানোর সময় দৃশ্যতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মোদী। একইসঙ্গে তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করেন। প্রণববাবুর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মোদীর।
প্রধানমন্ত্রী অতীতের কথা উল্লেখ করে বলেন, “একবার কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে গুজরাতের কয়েকজন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। গুলাম নবিজি সবসময় তাঁদের খবর রাখছিলেন। মনে হচ্ছিল, তাঁর পরিবারের কেউ বিপদে পড়েছেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ও সেই শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।”
পরে মোদী বলেন, “আমি বহু বছর ধরে গুলাম নবিজিকে চিনি। একসময় আমরা দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেও আমি আজাদজির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। তিনি তখন রাজনীতিতে খুবই সক্রিয় ছিলেন। তিনি বাগান করতেও ভালবাসেন। একথা অনেকেই জানেন না।”
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে শান্তিতে আঞ্চলিক নির্বাচন হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেছিলেন গুলাম নবি আজাদ। সেজন্য সোমবারও রাজ্যসভায় তাঁর প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদে এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বিতর্কের জবাবী ভাষণ দেন মোদী। তিনি বলেন, “গুলাম নবিজি সবসময় ভদ্রভাবে কথা বলেন। কখনও কটু শব্দ বলেন না। তাঁর থেকে আমাদের শেখা উচিত। আমি তাঁকে সম্মান করি। তিনি জম্মু-কাশ্মীরে ভোটের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমি উদ্বিগ্ন। কংগ্রেস তাঁর এই প্রশংসা যথাযথভাবে নিতে পারবে তো? জি-২৩ গোষ্ঠীর মতামত বলে উড়িয়ে দেবে না তো?”
গতবছর কংগ্রেসের ২৩ জন প্রবীণ নেতা সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছিলেন, দলের সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন করা দকার। তাঁদের অন্যতম ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। এই চিঠিকে দলের হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। মোদী এদিন সেকথা উল্লেখ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন।