দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গায়ের সাদা শার্টটা রক্তে ভিজে গেছে। দু’হাত রক্তে মাখা। এক হাতে ঝুলছে একটি মেয়ের মাথা। রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন সেই ব্যক্তি। এমন বীভৎস দৃশ্য দেখে কেউ ভয়ে পালালেন, কেউ থমকে থেমে গেলেন রাস্তার মাঝেই। লখনৌ শহর থেকে দূরে পান্ডেতারা গ্রামে এমন ঘটনা দেখে শিউরে উঠলেন পুলিশ কর্তারাও।
ব্যক্তির নাম সারভেশ কুমার। পান্ডেতারা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, সারভেশ হাতে যে কাটা মাথাটি ঝুলছিল সেটা তার নিজের মেয়ের। মাথা নিয়ে থানায় আসার চেষ্টা করছিল সারভেশ। তবে রাস্তাতেই তাকে এমন অবস্থায় দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন স্থানীয় লোকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মাঝ রাস্তা থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
১৭ বছরের মেয়ের মাথা নিজের হাতে কেটেছে সারভেশ, পুলিশের কাছে এমনই স্বীকারোক্তি তার। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়ের মাথা কেটেছে। যন্ত্রণার মৃত্যু দিয়েছে নিজের মেয়েকেই। জেরায় সারভেশ জানিয়েছে, তার মেয়ের সঙ্গে একটি ছেলের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেটা সে মেনে নিতে পারেনি। মেয়েকে বুঝিয়েও লাভ হচ্ছিল না। তাই রাগের বশে মেয়ের মাথা কেটে তাকে ‘শাস্তি’ দেয়।
পুলিশ অফিসার অনুরাগ ভাট বলেছেন, তদন্ত চলছে। খুব তাড়াতাড়ি সারভেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সম্মান রক্ষার্থে খুনের ঘটনা সারা দেশেই ঘটছে। সম্পর্ক মেনে নিতে না পারলে নিজের বাবা-মা বা আত্মীয় পরিজনরাই খুন করছে সন্তানদের। ভিন জাতে বিয়ে করলেও তার মর্মান্তিক পরিণতি হচ্ছে। যোগী রাজ্যেও এমন ঘটনা আকছার ঘটছে এবং ঘটে চলেছে। সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের ওপর নির্যাতন শীর্ষে উঠেছে। মহিলা ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের সাত হাজারের বেশি মামলা দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন নির্যাতন বা যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিছুদিন আগেই হাথরসে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত এক যুবক জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে বেরিয়েই নির্যাতিতা তরুণীর বাবাকে গুলি করে খুন করে। সে ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পুলিশ-প্রশাসন।