পিয়ালী মুখার্জী , দার্জিলিং: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাংশ। শিলিগুড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন কালিম্পং, সিকিম। পর্যটক ও ট্রেকাররা আটকে আছেন অনেকে। এরই মধ্যে কলকাতা থেকে একদল পর্যটক বুধবারই পৌঁছলেন কালিংপং হয়ে দার্জিলিং। আর দুর্যোগ থামার পর প্রত্যক্ষ করলেন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য
কলকাতা থেকে যাওয়া দেশের সময়-এর প্রতিনিধি পিয়ালী মুখার্জী জানালেন, দুর্যোগের খবর, লাল সতর্কতা , এসব নিয়ে ভয় তো ছিলই। কিন্তু তেমন কোনও অসুবিধেয় পড়েননি তাঁরা। আর বুধবার রাত থেকেই কালিংপঙ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন কাঞ্চনজঞ্ঘা।
সারাবছর কাঞ্চনজঙ্ঘা মেঘের ফাঁক থেকে লুকোচুরি খেলে। কিন্তু বৃষ্টি ধোয়া পাহাড়ে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধি দেখলেন সুবিস্তৃত বরফাচ্ছাদিত পর্বতমালা দিনভর।
পথে পড়া রোহিনী ঝোরা এখন যেন পুরোদস্তুর জলপ্রপাত।
নয়নাভিরাম পাহাড়
সকাল হতে না হতেই দেখা গিয়েছে সুনীল আকাশ।
স্থানীয়দের ধারণা, বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে বলেই এভাবে হাসছে পাহাড়।
কাঞ্চনজঙ্ঘার চোখ জোড়ানো ভিউ।
পিয়ালী জানালেন, তেমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি দার্জিলিঙে যাওয়ার রাস্তা। পর্যটকরা বিপদে পড়বেন না।
উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের ঢল। পাহাড় এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ৷
দার্জিলিং, কালিংপঙ সহ পাহাড়ে পর্যটন একেবারেই স্বাভাবিক। প্রচুর মানুষ এসেছেন ছুটি কাটাতে, পাহাড়ের শীতল পরশ উপভোগ করতে। জনজীবন একেবারেই স্বাভাবিক। খোলা আছে স্থানীয় দর্শনীয় স্থান গুলি। স্বভাবতই হোটেল মালিক ও গাড়ির চালকরা খুব খুশি অতিমারীর ভ্রুকুটিকে তোয়াক্কা না করেই মানুষের ঢল দেখে।
পাহাড়ে মেঘ রোদ বৃষ্টি খেলার সাথে ছুটির মজা কাটানো নিচ্ছেন পর্যটকরা যাঁদের মধ্যে সিংহভাগই বাঙালি। পাহাড়ী সৌন্দর্য উপভোগ করতে কখনো ম্যলে ভিড় জমাচ্ছেন, জয় রাইড, টাইগার হিল, রক গার্ডেন আরো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। খাবারের দোকান থেকে রাস্তা ভিড়ে একটাই ভয় অধিকাংশই মাস্ক বিহীন। স্থানীয় প্রশাসন থেকে পোস্টার ব্যানারে সতর্ককীকরণ চললেও নজরদারির অভাব রয়েছে।
মিঠে রোদ গায়ে মেখে জয় রাইড অর্থাৎ পাহাড়ী অন্যতম হেরিটেজ টয় ট্রেনে চেপে উচ্চতম রেল স্টেশন, পাহাড়ের উপর বাতাসিয়া লুপ এর অনবদ্য সৌন্দর্য চেটেপুটে নিচ্ছেন পর্যটকরা। চারদিকে পাহাড়ের রানীর নয়নাভিরাম অপরূপ সৌন্দর্যে খুশি পর্যটক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক পাহাড়ে তেমন কোনো প্রভাব নেই পর্যটনে।
ছবি ও তথ্য – পিয়ালী মুখার্জী৷