দেশের সময়,গোবরডাঙা: আসছে পুর ভোট তার আগে গোবরডাঙা এলাকার মানুষের জন্য সুখবর বয়ে আনল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল নতুন করে চালু হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে নতুন করে চালু হচ্ছে। সোমবার এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল বন্ধ হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, সহ–সভাধিপতি কৃষ্ণগোপাল ব্যানার্জি, দুই কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী, নারায়ণ গোস্বামী–সহ অন্যরা৷
এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ১৯৫৭ সালে গোবরডাঙার গৈপুর এলাকায় সরকারি উদ্যোগে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে গ্রামীণ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। শুধু গোবরডাঙাই নয়, গাইঘাটা ব্লকের বহু মানুষ এখানে পরিষেবা নিতে আসতেন।
২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। আউটডোরের পাশাপাশি রোগী ভর্তি, ২৪ ঘণ্টা জরুরি পরিষেবা পাওয়া যেত। ২০১৪ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, তাঁরা আর এই হাসপাতাল চালাতে পারবেন না।
এর পর থেকে হাসপাতালের অবস্থা খারাপ হতে থাকে৷ বর্তমানে এখানে ১ জন মাত্র সরকারি চিকিৎসক রয়েছেন, শুধু আউটডোর পরিষেবা দেওয়া হয়। ফের হাসপাতালটি চালু করতে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করে গোবরডাঙা পুরসভা এবং নাগরিক মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব নিচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
আপাতত আগামী মাস ছয়েক জেলা পরিষদ দেখভাল করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে ৪ জন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী এখানে পাঠানো হবে। ৩০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালে নতুন করে ২৪ ঘণ্টা আউটডোর এবং ইনডোর বিভাগ চালু হবে।