দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এক চাণক্যের কথায় আর এক চাণক্য ভোটে লড়তে রাজি হলেন। ব্যাপারটি এরকম? নাকি দুই চাণক্য মিলে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন, এ বার যুদ্ধে মেঘনাদের মতো লড়লে হবে না। মাঠেও নামতে হবে।
এখনও পর্যন্ত যাখবর তা হল, শেষ মুহূর্তে যদি কোনও পরিবর্তন না হয়, তা হলে কৃষ্ণনগর থেকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায়। কৃষ্ণনগরে দুটি বিধানসভা আসন রয়েছে। একটি উত্তর অন্যটি দক্ষিণ। অনেকে বলছিলেন বটে যে দক্ষিণের আসনটিতে প্রার্থী হতে পারেন মুকুল রায়। কিন্তু বুধবার গভীর রাতের খবর, হতে পারে উল্টোটিই। অর্থাৎ কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে প্রার্থী হতে পারেন পোড় খাওয়া এই রাজনীতিক।যার অর্থ কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই হবে মুকুল রায়ের।
বিজেপির অনেকেই হয়তো জানেন না, কিন্তু তৃণমূলের বহু নেতা কর্মী জানেন, নদিয়ার সঙ্গে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক যোগ কেমন। নদিয়া জেলার ব্লক, পঞ্চায়েত হাতের তালুর মতো চেনা মুকুলবাবুর। আট বছর আগে সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল হারতে চলেছিল, পরে ফল বেরোতে দেখা গেল জিতে গেছে। নেপথ্যে ছিলেন দিদির তৎকালীন এই চাণক্যই। অনেকে আবার বলেন, বাংলার রাজনীতি অনিল বিশ্বাস নম্বর টু।
বাংলায় মুকুলবাবু যেমন রাজনীতির চাণক্য বলে পরিচিতি পেয়েছিলেন, তেমন সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বর্তমান সেনাপতি অবিসংবাদিতভাবেই অমিত শাহ। যিনি বছর দুয়েক আগে শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে মুকুল বাবুকেই উনিশের ভোটে আঠারোটি আসন জেতার কারিগর বলেছিলেন। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মুকুল রায়কে কৃষ্ণনগরে প্রার্থী করে অমিত শাহরা আসলে গোটা নদিয়ার জেলার দায়িত্বই এক প্রকার তাঁর হাতে দিলেন অমিত শাহরা।
এখন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে ভোটের রসায়ন ২০১৬ সালে কেমন ছিল? ষোল সালের ভোটে তৃণমূলের অবনীমোহন জোয়ারদার এই আসনে ১২,৯১৫ ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটে এই আসনে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল ৫৩ হাজারের বেশি ভোটে। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে জিতলেও এই আসনে ব্যবধান হাফ লাখের বেশি ছিল।
একুশের ভোটে কী ফলাফল হবে তা অবশ্য সময়েই বলবে। আপাতত মুকুল রায়ের নাম বিজেপির প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার সময়ের অপেক্ষা।