দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামে এবার হাইপ্রোফাইল লড়াই। ১ এপ্রিল যত এগিয়ে আসছে, তত রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ শানাচ্ছেন শাসক দলকে। অন্যদিকে হুঙ্কার ছাড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার যেমন ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে সভা করলেন মমতা। লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটেছিল। সেখানকার সভায় মমতার প্রশ্ন, ‘লোকসভায় জিতেছিল বিজেপি, কী করেছে তারা? ওদের শূন্য করে দিন, মিথ্যা কথা বলে ভোট নিয়েছিল।’ এরপরই মমতার সংযোজন, ‘এখন ঝাড়গ্রামে আর রক্ত ঝরে না। ঝাড়গ্রাম এখন জঙ্গল সুন্দরী হয়েছে। 

আমায় চিকিৎসকরা বেরতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু আমি ঘরে বসে থাকলে বিজেপি মিথ্যা বলে দখল করে নেবে।’ এরপরই মমতার কটাক্ষ, ‘বাংলায় এরা এক হাজার মন্ত্রী, নেতা নিয়ে এসেছে।’ কর্মীদের সতর্ক করে মমতা বলেন, ‘বিজেপির পরিকল্পনা আছে, গুন্ডা নিয়ে এসে আপনার ভোট নিজেরা দেবে।’‌ জঙ্গলমহলের তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাই প্রথম খেলবেন। এমন খেলবেন যাতে বলটা মাঠের বাইরে করে দিতে পারেন।’ করোনা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষও করেন মমতা। 

ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন শুভেন্দুও। তিনি চণ্ডীপুরের সভায় ফের বলেন, ‘‌মাননীয়াকে হারাব নন্দীগ্রামে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। উনি আমার কাছে বড় প্রার্থী নন।’‌ চণ্ডীপুরের সভায় তৃণমূলনেত্রীর চণ্ডীপাঠ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‌আমার মেরুদণ্ড সোজা। তাই এই কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছি। তোলাবাজ ভাইপো আমার বাপ তুলেছে। বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনী হাজরাকে অপমান করেছেন। অপেক্ষা করুন, শিশিরবাবু থাকবেন মোদিজির সভায়। আমি অমিতজির সভায় ২১ তারিখ এগরার যেতে বলব।’‌ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here