দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ একুশ মিনিটের অপারেশন। কার্পেট বম্বিংয়ে শেষ সবই। নিকেশ মাসুদের শ্যালক ইউসুফ আজহার–সহ জৈশ–ই–মহম্মদের অন্তত ৩৫০ জন জঙ্গি।একইসঙ্গে খবর পাওয়া গিয়েছে, মাসুদ আজহারের বড় ভাই ইব্রাহিম আজহারেরও মৃত্যু হয়েছে ভারতের প্রত্যাঘাতে।
কাশ্মীরে জৈশের কার্যকলাপ চালানোর দায়িত্বে থাকা মুফতি আজহার খান কাশ্মীরি এবং মৌলানা আম্মানকে নিকেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।এছাড়া মাসুদ আজহারের ছোট ভাই মৌলানা তালহা সইফ এই অভিযানে খতম হয়েছে। এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে সেনাবাহিনী সূত্রে। জৈশের বিশেষ শিবিরের জন্য বালাকোট থেকে ৫০ মাইল দূরে যে লঞ্চ প্যাড সেখানে জড়ো হয়েছিল বেশকিছু জঙ্গি। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির কাছে সেই খবর ছিল। তাই মঙ্গলবার ভোরকেই বেছে নেওয়া হল অপারেশন চালানোর জন্য।
হানা দিল মিরাজ–২০০০।
বালাকোটের জৈশ কন্ট্রোল রুম আলফা–৩ প্রশিক্ষণ শিবিরে মাসুদের শ্যালক তথা জৈশ কম্যান্ডার আকিব সেই সময় উপস্থিত ছিল বলে খবর। ২০০০ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল লুকআউট নোটিস জারি করেছিল। কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক করার ঘটনায় সে যুক্ত ছিল। সব মিলিয়ে আধ ডজন লঞ্চ প্যাড উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। গত আড়াই দশকে জৈশের ওপর এত বড় আক্রমণ হয়নি।
সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিজয় গোখলেও তাই বলেন, ফের একবার আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা করতে পারে জৈশ। নিরাপত্তা ইস্যুতে বিকেলে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
পুলওয়ামায় ঘটনার কয়েক ঘণ্টার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরের দিন সকালেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক ডেকে প্রত্যাঘাতের অনুমতি দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীকে। তা খোলাখুলি জানিয়েও দিয়েছিলেন। আর ১২ দিন পর প্রত্যাঘাত করল ভারত।