দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাদার টেরেসার সংগঠন মিশনারি অফ চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়ে সোমবার ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটু আগে টুইট করে মমতা বলেন, ‘ক্রিসমাসে আগে এটি খুব হতাশার খবর।’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বড়দিনের উৎসবের মধ্যে মিশনারি অফ চ্যারিটির অধীনে থাকা ২২ হাজার মানুষ বিপদে পড়েছেন। তাঁদের খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ করা যাচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা আইনেরও উর্ধ্বে।
Shocked to hear that on Christmas, Union Ministry FROZE ALL BANK ACCOUNTS of Mother Teresa’s Missionaries of Charity in India!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 27, 2021
Their 22,000 patients & employees have been left without food & medicines.
While the law is paramount, humanitarian efforts must not be compromised.
সূত্রের খবর, ক্রিসমাসের আবহে সব অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধের নির্দেশ। বিষয়টি জানলেও এখনই এই নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে রাজি নয় মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের ২২ হাজার রোগীর সমস্যা বাড়বে। সমস্যা বাড়বে চ্যারিটিজের অধীনে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরও। চ্যারিটিজের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার সরবরাহে বিঘ্ন হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
Shocked to hear that on Christmas, Union Ministry FROZE ALL BANK ACCOUNTS of Mother Teresa’s Missionaries of Charity in India!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 27, 2021
Their 22,000 patients & employees have been left without food & medicines.
While the law is paramount, humanitarian efforts must not be compromised.
প্রসঙ্গত, এবার বড়দিনে একদিকে প্রধানমন্ত্রী যেমন যিশু খ্রিস্টের বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়ে সম্প্রীতির কথা বলেছেন, তেমনই সারা দেশে হিন্দু সংগঠনের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান অবলম্বী মানুষের ওপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ব্যাপারে মিশনারি অফ চ্যারিটির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি, আর কেন এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে একটা সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, গুজরাতের ভদোদরায় হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।