সঙ্গীতা চৌধুরী, কলকাতা: বর্ষবরণের প্রাক মুহূর্তে ৩০ ডিসেম্বর সঙ্গীত জগতের দুই মহারথীকে বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় ওয়েস্টউইন্ডের আবাসিকরা। প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ রফি ও সুরস্রষ্টা সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে দক্ষিণ কলকাতার এই অভিজাত আবাসনে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজিত হয়।
এখানে শিল্পী তালিকা ছিল বেশ দীর্ঘ। শিল্পীরা প্রত্যেকেই এই বিশিষ্ট দুই শিল্পীর অনেক জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কেউ একজনের গান বেছে নেন আবার কেউ দুজন কিংবদন্তির গান গেয়েই উপস্থিত দর্শকদের স্বর্ণযুগের সঙ্গীত জগতে পৌঁছে দেন। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নিজেদের উজাড় করে গান। শিল্পীরা হলেন- বনবন, ঐশীকি, রাজন্যা, অপরাজিতা, অঞ্জন, সুচিস্মিতা, শিখা, সুদেষ্ণা ,কুণাল, ডঃ ডি পি ঘোষ, চিত্রলেখা ঘোষ প্রমুখ।
তবে সকলের মধ্যে বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ বুদ্ধদেব চ্যাটার্জির সঙ্গীত পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে একটা অন্য মাত্রা দেয়। সঙ্গীতপ্রেমী এই চিকিৎসক তাঁর শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বার করে নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যান। সেদিন তাঁর সুরের মূর্ছনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। তিনি সলিল চৌধুরীর দুটি বিখ্যাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
কমল চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীদের সুদক্ষ সঙ্গীত আয়োজন গোটা অনুষ্ঠানটিকে খুবই উপভোগ্য করে তোলে। অনুষ্ঠানের সংযোজনার দায়িত্বে ছিলেন অঞ্জন ও সুচিস্মিতা। এই অনুষ্ঠানের একজন অন্যতম উদ্যোক্তা নীলাঞ্জনা দত্ত চৌধুরী (সেক্রেটারি)। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য দিকগুলোও বিগত তিন বছর ধরে সামলে চলেছেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন উৎসব ও পুজোয় ওয়েস্টউইন্ড নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির ধারা খুব সুষ্ঠ ভাবে বজায় রেখে চলেছে। আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতেও তারা আরও সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান সকলকে উপহার দেবেন।