দেশের সময়ওয়েব ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিউড়ির বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে পাঠাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
দিন তিনেক আগে বীরভূমের সিউড়িতে মমতার বক্তব্যের পরেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। অভিযোগ ছিল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে অল্প ধমকে চমকে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরই বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাছে ওই বক্তব্যের সিডি এবং রিপোর্ট চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, সেই ক্লিপিং এ বার যাচ্ছে দিল্লির নির্বাচন সদনে।
বীরভূম এমনিতেই কমিশনের চোখে অতি স্পর্শকাতর। আগেই কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বীরভূমের সব বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী রেখে ভোট হবে। এর মধ্যেই আবার ভোটকর্মীদের মঞ্চ দাবি জানিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে ভোটের দিন নজরবন্দি করে রাখা হোক। না হলে রাঢ় বাংলার এই জেলায় সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও একধাপ এগিয়ে দাবি জানিয়েছেন, ভোটের দিন অনুব্রতকে জেলার বাইরে রাখা হোক। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার ক্লিপিং নিয়ে দিল্লি পাঠানোকে তাৎপর্য বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগে বক্তৃতায় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘণের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। দু’জনকেই ৪৮ ও ৭২ ঘণ্টা সেন্সর করেছিল নির্বাচন কমিশন। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিধি ভাঙলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন। নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকেই বাংলায় অবাধ ভোট করাতে মরিয়া কমিশন। ভোট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে তারা। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগের পর বিশেষ পর্যবেক্ষকও বসিয়েছে। মমতার সিউড়ির বক্তৃতা নিয়ে কোন পথে হাঁটে কমিশন, এখন সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনৈতিক মহল৷