দেবনন্বীতা চক্রবর্তী,ঠাকুরনগর: একদিকে ভোট অন্যদিকে প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের শ্রদ্ধানুষ্ঠান। এই দুদিকের টানাপোড়েনে অন্য রকম ভাবেই শুক্রবারটা কাটলো বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের। ভোট ঘোষণা হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই দিন কয়েকের অসুস্থতায় হঠাৎ করেই প্রয়াত হন বীণাপাণি ঠাকুর। ঠাকুর পরিবারের কাছে বিশেষ করে পরিবারের বর্তমান বড় বৌমা মমতা বালা ঠাকুর এর কাছে এটা একটা বড় আঘাত। মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তিনিও এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন।
ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে। ফলে সেই দিকটিও তাকে ভাবাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রচারে বের হন তিনি। তার আগে বড়মার ঘরে গিয়ে বড়মার ছবিতে প্রণাম করে তার এই প্রচার যাত্রা শুরু করলেন। শুক্রবার ছিল বড়মার শ্রদ্ধানুষ্ঠান। নিজের মেয়েদেরকে নিয়ে এদিন সকাল থেকে সেই কাজেই ব্যস্ত ছিলেন মমতা বালা ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্ত রা। ঠাকুর পরিবারের নিয়ম নীতি মেনে সেই কাজ শেষ করলেন তিনি।
রবিবার খাওয়া দাওয়ার পর্ব রয়েছে। সেখানে কুড়ি হাজার মানুষের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে সে কাজ সম্পন্ন হবে। দলীয় কর্মীরা মনে করছেন রবিবারের ওই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জনসংযোগের কাজ হবে যার প্রভাব পড়বে ভোট ময়দানে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর।
তার অকাল প্রয়াণে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রী মমতা বালা ঠাকুর কে প্রার্থী করে দল। তিনি জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দু লক্ষ ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন। এবারের নির্বাচন তাই তার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার আশা এবার সেই ব্যবধান আরও বাড়বে। সেই লক্ষ্যেই এখন সামনের দিকে এগোতে চান মমতা বালা ঠাকুর।