দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চিনের বাইরে ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে করোনাভাইরাসের থাবা। উদ্বেগ বাড়ছে সর্বত্র।
চিনের বাইরেও অন্যান্য দেশে কী ভাবে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস, সেদিকে নজর রাখছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। কোন দেশের সরকার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। একবার ছড়িয়ে পড়লে ভারতে এই ভাইরাসের আক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।

ভারতে এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ঘনজনসংখ্যার এই দেশে করোনভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত বলে মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তাই চিনের পরে যে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে যে দেশ তাদের সবচেয়ে চিন্তায় রেখেছে তা হল ভারত।

করোনভাইরাসের হামলা ঠেকাতে যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়, তা এই দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই অমিল বলে মনে করছে তারা।

করোনাভাইরাসের হামলায় ইরানের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। ইরানেও যে ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা অত্যন্ত আশঙ্কার বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।

ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ সড়ক পথ পেট্রাপোল সীমান্ত।এই পথেই রোজ হাজার হাজার বিদেশিরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত করেন তাঁদের ব্যাবসা বা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য৷ভারতের এক ব্যাবসায়ীর কথায় বাংলাদেশের বহুমানুষ চিনে ব্যাবসার প্রয়োজনে বছরের পর যাতায়াত করেন এবং তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে ঢোকেন এবং খুব অনায়াসেই এই পথে কলকাতা হয়ে চিনে পাড়ি দেন বৈধ পাশ পোর্টের মাধ্যমে।

কিন্তু প্রশ্ন হল এখন তারা বাংলাদেশে ফিরে ভারতে ঢুকছেন অথচ কোন সংক্রমণ ঢুকছে কিনা সেটাই দেখা উচিত প্রশাসনের। যদিও শুক্রবার পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন দফতরে গিয়ে দেখাগেল তেমন কোন পরিকাঠামো নেই,এক কথায় অবাধ যাতায়াত চলছে,এক প্রশাসনিক কর্তার কথা ছিল এমন,’চিন থেকে কি হাওয়ায় উড়ে আসবে করোনা ভাইরাস’ যত সব আজগুবি প্রশ্ন৷ যদিও এদিন বাংলাদেশের অনেক যাত্রীদের মুখে মাস্ক পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ তাদেরকে প্রশ্ন করলে বলেন ঠান্ডা -গরমে সর্দি লেগেছে তাই মাস্ক ব্যাবহার করছি৷ ভারতের এক রপ্তানী কারক প্রদীপ দে জানান,চিনে এই মাস্ক এর অভাব পড়েছে ভারত থেকে চিনের বাজারে যাচ্ছে প্রচুর মাস্ক।অনেক বাংদেশী ব্যাবসায়ীরা চিনের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ব্যাবসার প্রয়োজনে এবং প্রচুর শ্রমিক কাজ করেন চিনে তারা অনেকেই দেশে ফিরে ভারতে ঢোকেন এই পথেই, চিন্তার যথেষ্ঠ কারণ থেকেই যায়।

“অনেকটা দেরিতে হলেও “দেশের সময়” এর খবরের জেরে গত ৬ ফেব্রুয়ারী শেষপর্যন্ত পেট্রাপোল সীমান্তে পৌছায় মেডিকেল টিম, খোলা হয় করোনাভাইরাস হেল্প ডেস্ক”

কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে পেট্রাপোল সীমান্তের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো, কোথাও কোন মেডিকেল টিমের সদস্যদের দেখা মেলেনি।পরিস্থিতি জানতেগিয়ে শুল্ক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, মুলত এদিন বাংলাদেশে ছুটি থাকে তাই যাত্রী সংখ্যা কম,হয়ত মেডিকেল টিম আশেপাশে কোথাও আছে।

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড স্টাফওয়েল ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান ছুটি বা কোন কারণে যাত্রী যাতায়াত সংখ্যা কম বেশি হতে পারে ,কিন্তু প্রশ্ন হলো পেট্রাপোল স্থলবন্দরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত প্রশাসন।কারণ তেমন কোন পরিকাঠামো চোখেই পড়ছেনা এখানে।অথচ কয়েক হাজার ভিনদেশী নিত্যযাত্রীর যাতায়াত করেন এই পথে।আর ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের জন্য এক জনই যথেষ্ঠ।সুতরাং করোনা আতঙ্ক পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিমুহুর্তে তাড়া করে বেড়াচ্ছে বলা যেতেই পারে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here