দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ব্লকব্লাস্টার ফ্রাইডে’, ভোটে গরম বাংলায় ৬ মার্চ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। এক শুক্রে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর আরেক জুম্মাবারে মেগা ঘোষণা। একইসঙ্গে একইদিনে ঘোষিত হতে চলেছে তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তালিকা। সম্ভবত এই প্রথমবার সব দলের প্রার্থী ঘোষণা একইদিনে। ‘প্রার্থী তালিকার শুভমুক্তি’ ঘিরে বঙ্গ রাজনীতির পারদ উর্দ্ধমুখী।
একুশের মহাযুদ্ধের সবথেকে বড় ঘোষণার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সবপক্ষই। কোন মহারথীর মুখোমুখি কে? উত্তরের খোঁজে তুফান বাংলার চায়ের কাপে। প্রথমবার ভোট ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ বাদে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল। রাজধানীর ওয়্যাররুমে বসে হাইকম্যান্ডের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর এদিনই চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে বিজেপিও। অন্যদিকে শেষবেলায় রঙ জমিয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চা। বেশ কয়েক দফায় আলোচনা শেষে আসন রফায় সহমতের পর কোন আসনে কোন দলের প্রতিনিধি দাঁড়াবে সেই উত্তরও মিলতে পারে এদিন।
একুশের মসনদের যুদ্ধের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। যে নন্দীগ্রামের হাত ধরে প্রায় ১১ বছর আগে উঠেছিল পরিবর্তনের ঝড়, সেই নন্দীগ্রামেই আবার হতে চলেছে মহারণ। অতীতের সতীর্থ এখন কড়া প্রতিপক্ষ। নন্দীগ্রামের জনসভায় দাঁড়িয়ে ওই আসন থেকে নিজেই প্রার্থী হওয়ার কথা যেদিন ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সেদিনই শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ ছিল নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে ‘হাফ লাখ’ অর্থাৎ ৫০,০০০ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, বিজেপি শুভেন্দুর ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়েই নন্দীগ্রামের টিকিট তুলে দেবে তাঁর হাতে। দিদি বনাম দাদা-এর এই লড়াইয়ে জোটের তরফে রঙ জমাতে চলেছে আব্বাস সিদ্দিকির সেকুলার পার্টি আইএসএফ। সংযুক্ত মোর্চার তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী এবারে সিপিআই জোটের আসন রফার শর্ত মেনে ওই আসনটি সিদ্দিকির দলের জন্য ছেড়েছে। জল্পনা বলছে ওই আসনে দাঁড়াতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকি নিজে। যদি তাই হয় তাহলে নন্দীগ্রাম জমজমাট।
এতো গেল একটি আসনের কথা বাকি ২৯৩টি আসনে কে হচ্ছেন কার প্রতিপক্ষ তা জানতে আর কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। বাংলা দখলের লড়াইয়ে কোন দল কেমন সাজাল ঘুঁটি তার নমুনা মিলতে চলেছে আজ মহা শুক্রবারে।