নীলাদ্রি ভৌমিক,কলকাতা : শুক্রবার সকালে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্দ্ধিত কোর কমিটির সভায় আগামী ১৯ জানুয়ারি দলের ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে, আক্ষরিক অর্থে দলের জেলার নেতৃত্বকে লোকসভা ভোটের প্রস্ততির বার্তা দিলেন, সর্বভারতীয় সভানেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুরুতেই অসমে বাঙালি খেদাও-এর বিরুদ্ধে পাশে থাকার বার্তা দিলেন। বিজেপিকে আক্রমণ করে নেত্রী বলেন, ক্ষমতার অপ ব্যবহার করছে বিজেপি ,ফেডারেল স্ট্রাকচার বদলে দিচ্ছে।প্রত্যেকটি পদে পদে তাই লড়তে হচ্ছে। ওরা হচ্ছে,হিস্টি চেঞ্জার, পলিসি চেঞ্জার,নেম চেঞ্জার৷ শুধু ,দেশের জন্য ডেঞ্জার। ইভিএম নিয়ে কারচুপি করছে৷ লড়তে হলে সতর্ক হতে হবে। একদিকে রাম, আরেক দিকে বাম মধ্যিখানে জনগণের রাজা হয়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে। রথযাত্রা নয়,রাবণ যাত্রা। রাজনৈতিক যাত্রা। ওদের রাবণ যাত্রার পরের দিন দলের কর্মীরা রাস্তা সাফাই -এ নামবেন। মানুষকে নিয়ে এই যাত্রার নাম পবিত্র যাত্রা। একতা ও শান্তি যাত্রা। শ্লোগান বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। এরপরই ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন কমিটি গড়ে দিনেন। নেত্রীর নির্দেশ জেলা সভাপতিরা দ্রুত সভা করে প্রচার শুরু করবেন। প্রতিটি বুথে ৩০টি করে দেওয়াল লিখন করা চাই। দলে আদি-নব দ্বন্দ্ব মেটাতে জেলা নেতৃত্বকে মমতার দাওয়াই, অবিলম্বে অসম্মানিত হয়ে যাঁরা সরে গেছেন। তাঁদের ডেকে আনুন। এ কাজ আপনারা না পারলে আমিও ডেকে নেবো। চাওয়াটা বন্ধ করুন । দেবার চেষ্টা করুন। দলকে মায়ের মতো,আত্নার মতো লালন-পালন করতে হবে। দল না থাকলে কেউ থাকবে না। ব্যক্তিস্বার্থের কথা ভাবলে হবে না। মানুষের স্বার্থে ভাবতে হবে। মানুষের পাশে না থাকলে, দল পাশে থাকবে না। কাজ না করলে নেতৃত্ব বদলে দেবো। বিজেপি চায় না জঙ্গল মহল ,পাহাড় ভাল থাকুক। তাই টাকা দিয়ে মাওবাদীদের কাজে লাগাচ্ছে । জেলার নেতাদের বহিরাগতদের উপর নজর রাখতে হবে। বিজে পি যা করে তার চেয়ে বেশি প্রচার করে। ভোটার তালিকা করা কী ভুলে গেছেন? সব কাজ কী আমি করে দেবো? ভোটার তালিকার কাজে নেমে পডুন। আগামীদিনে লড়াই করার জন্য তৈরি হতে হবে। এককথায় নরমে গরমে জেলার নেতাদের আগামী লোকসভা ভোটের কাজের রূপরেখা ছকে দিলেন দলনেএী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ব্রিগেডের সভায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন ৷ এই সভা বিজেপির বিদায় ঘন্টা বাজাবে। বাংলা সেই পথ দেখাবে, অর্থাৎ ব্রিগেডের সভা জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট।
ব্রিগেডের সভায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন ৷ এই সভা বিজেপির বিদায় ঘন্টা বাজাবে। বাংলা সেই পথ দেখাবে, অর্থাৎ ব্রিগেডের সভা জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট।