দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সকাল থেকে বাস এবং বিভিন্ন গাড়িতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ঢুকতে শুরু করেছে শহরে। শহিদ মিনার থেকে মহামেডান স্পোর্টিং তাঁবুর পাশের মাঠ, সকাল পৌনে ন’টার মধ্যেই ভরে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসা বাসগুলিতে। যত সময় এগিয়েছে তত পার্কিং ছড়িয়ে পড়তে থাকে বাবুঘাট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনউ এবং রেসকোর্স লাগোয়া অঞ্চলে। সকালের ট্রেন্ড দেখে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার ভিড় নিয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

উত্তর২৪পরগনা জেলার বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন,সক্কাল সক্কাল শহরে এসেছে, সেগুলি মূলত পশ্চিমাঞ্চলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলির জমায়েতই সকালে এসে পৌঁছেছে।

বেলা বাড়লে তৃণমূল রাস্তায় বাধা দিতে পারে। তাই কাক ভোরেই এই সমস্ত জেলার কর্মীরা রওনা দিয়ে দেন ব্রিগেডের উদ্দেশে।”

কলকাতা লাগোয়া জেলা, অর্থাৎ হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়ার মূল জমায়েত ট্রেনে আসছেন বেশির ভাগ কর্মী সমর্থকেরা। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে মিছিল করে সমাবেশে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। এ ছাড়াও কলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি মিছিল যাবে ব্রিগেডের দিকে।


ন’টি ছাউনির কাঠামো করা হয়েছে ব্রিগেডের মাঠ জুড়ে। মূল মঞ্চের দু’পাশে দুটি ছোট মঞ্চ থাকছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কলকাতা শহর। এসপিজি এবং কলকাতা পুলিশের বাহিনী থাকছে মঞ্চের নিরাপত্তার দায়িত্বে। কিন্তু এই সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক জানজট ছড়ানোর আশঙ্কা।

কাজের দিনে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। কারণ, বেলা যত বাড়বে কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে। ব্রেবর্ন রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোডের মতো জনবহুল রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ট্রাফিক।

শিলিগুড়ির সভা শেষ করে কলকাতায় আসবেন। বিজেপি নেতারা মনে করছেন সভা ভাঙতে ভাঙতে পাঁচটা বেজে যাবে। ফলে সমাবেশ ফেরত মানুষের ভিড়ে অফিস ফেরত জনতাকেও দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও, পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে লালবাজার। এদিকে কর্মী সমর্থকেরাও ভিড় করতে শুরু করেছে ব্রিগেডে’ ৷ ছবি – সংগৃহীত|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here