ডার্বির আগে খুঁশির হাওয়া বাগান শিবিরে। সুখদেব সমস্যা থেকে ইতিমধ্যেই মুক্ত ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে ফেডারেশনের দারস্হ হয়ে সুখদেব সিং দাবী করেন, “গত আগষ্ট মাস থেকে আমি শাস্তিতে থাকলেও বিষয়টি সম্হন্ধে অবগত ছিলাম না”। “একমাস অতিক্রান্ত হলে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে আমাকে বিস্তারিত জানানো হয়”। “তাই আগষ্ট মাস ধরে চার মাসের হিসেবে আমাকে ডিসেম্বর মাসেই শাস্তি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক”। সূত্রের খবর, সুখদেব সিং-এর দাবীতে সন্মতি জানিয়েছে ফেডারেশন। আগামী ১১ই ডিসেম্বর নির্বাসন থেকে সম্পুর্ন মুক্ত হবেন মিনার্ভা পাঞ্জাবের এই প্রাক্তনী। অতএব ১৬তারিখ কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগান জার্সিতে তার মাঠে নামা এক কথায় চূড়ান্ত।
উল্লেখ্য মিনার্ভা পাঞ্জাবে থাকা সুখদেব সিং-চলতি মরশুমে ৪০লক্ষ টাকায় সই করেন ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু “ট্রান্সফার অর্থ সম্পুর্ন না করে কোন উপায় সুখদেব-কে সই করালো ইস্টবেঙ্গল”? এই প্রশ্ন নিয়ে ফেডারেশনের দারস্হ হয়ে মিনার্ভা পাঞ্জাব দাবী করে, “ট্রান্সফার অর্থ জমা করেনি লাল হলুদ শিবির, তাই সুখদেব সিং-কে ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব নয়”। চলে বিস্তর আলোচনা।
তার মাঝেই ৫৬লক্ষ্য টাকা দিয়ে সুখদেব-কে সই করিয়ে নেয় মোহনবাগান।
আর বিষয়টি নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গলকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি শোনার ফেডারেশন। জানানো হয়, “আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে কোন ফুটবলারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকবে ইস্টবেঙ্গল”। তবে সাত লক্ষ্য টাকা জরিমানার মধ্যে দিয়ে সেই সমস্যা থেকে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে লাল হলুদ শিবির।
কিন্তু সুখদেব-কে নিয়ে সিদ্ধান্তে অনড় ছিল ফেডারেশন। আর অবশেষে সমস্যার সমাধান। শাস্তি মুক্ত হয়ে বাগান জার্সিতে কতটা সফল হবেন সুখদেব সিং? উত্তরের দেবে আই লিগের প্রথম ডার্বি।