দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর তালিবানিদের দখলে রয়েছে এখন। ফলে ওঠানামা করছে না কোনও অসামরিক বিমান। দেশ ছাড়তে কাবুলবাসীর একমাত্র ভরসা ছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সামরিক বিমানগুলি। তাতেই ঠাসাঠাসি করে উঠতে শুরু করে বহু মানুষ। মার্কিন মুলুক সূত্রে খবর, বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যাঁরা বিমানবন্দরে এসেছিলেন তাদের মধ্যে যতজনকে বিমানে জায়গা দেওয়া সম্ভব ততজনকেই নিয়েই রওনা হয়েছে ওই কার্গো বিমান টি। যে বিমানে মাত্র ১৩৪ জন প্যারাট্রুপার বসতে পারে সেই বিমানেই চড়ে বসেছেন ৬৪০ জন যাত্রী। তার মধ্যে রয়েছে অজস্র শিশু, মহিলা, যাদের ভবিষ্যত ঠিক কেমন কেউ জানে না।
শুধু মার্কিন বিমানই নয়, প্রাণভয়ে দেশ ছাড়তে অন্য বহু বিমানে ওঠার জন্য লাইন দিয়ে ছিলেন মার্কিন নাগরিকরা। বিমানে ঠাঁই না পেয়ে বিমানের ডানায় উঠে বসতে দেখা যায় বহু মানুষকে। কেউ চাকা ধরেও ঝুলে পড়েন।আজই ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা যায়, বিমানের ডানায় বা ল্যান্ডিং গিয়ারে ঝুলছেন এক ব্যক্তি । আতঙ্ক কতদূর পৌঁছালে মানুষ এ কাজ করতে পারে, তাই নিয়ে চর্চা গোটা বিশ্ব জুড়ে। এই ধরনের ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির। অসমর্থিত সূত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞা না মেনে বিমানবন্দরে প্রবেশ করায় তালিবানের গুলিতেও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিমানে মোট জায়গা বরাদ্দ ১৩৪ জন যাত্রীর জন্য। সেই বিমানে ৬৪০ জন আফগানিস্তানবাসীকে নিয়ে মার্কিন মুলুকের রওনা হল বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। প্রাণ বাঁচাতে ঠাসাঠাসি করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া এই মানুষগুলির ছবি এখন চোখের জল আনছে গোটা বিশ্বের।
পাশাপাশি মার্কিন বায়ুসেনার মানবিকতার তারিফ না করে পারছে না কেউ। গতকাল উড়ন্ত বিমান থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির।সেই ভিডিওতে হাড় হিম হয়ে গিয়েছিল বিশ্ববাসীর। আজ সকাল থেকে চর্চায় অস্তিত্বরক্ষায় মরিয়া মানুষের রীতিমতো বাক্সবোঝাই হয়ে দেশছাড়ার এই নতুন ছবিটি।