দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টিকাকরণ শুরুর আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই বলছিলেন, করোনা থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না তবে তৃণমূল ভাইরাসের ভ্যাকসিন এসে গেছে। মে মাসের পরেই বাংলার মানুষ এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবেন।
তা ছিল নিতান্তই রাজনৈতিক খোঁচা। তার মধ্যে কুরুচিকর তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানে এসে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র যা বললেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কৃষি বিলের সমর্থনে বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে নরোত্তম বলেন, “২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবকে বিজেপি ভ্যাকসিন দিয়েছিলাম। এবার মমতাকে দেওয়ার পালা। পাঁচ বছর এই ভ্যাকসিনের জের থাকবে।”
এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওদের মত আমরা আনকালচার নই। ওরা কি বলে, ওদেরই জ্ঞান নেই। তবে একটা কথা বলব, কৃষক আন্দোলনের ভ্যাকসিন নরেন্দ্র মোদীর গায়ে ফুটেছে। তাই আগে দিল্লি সামলাক, পরে ভাবুক বাংলা।”
এমনিতে রাজনীতিতে কুকথার স্রোত বইছে। আজ অনুব্রত মণ্ডল তো কাল সৌমিত্র খাঁ। পরশু মদন মিত্র তো তার পরের দিন সায়ন্তন বসু। থামার নামগন্ধ নেই। তার মধ্যেই যুক্ত হল নরোত্তমের মন্তব্য।
রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকতেই পারে। তাই বলে একজন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য কখনওই কাঙ্খিত নয়। এই সমস্ত নিম্নরুচির মন্তব্যই রাজনীতির পরিবেশটাকে বিষিয়ে দিচ্ছে।