দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রার্থী করার দাবি পূরণ না হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। একইভাবে তৃণমূলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতাবালা ঠাকুরও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্পর্কে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। নির্বাচনের মুখে ঠাকুরবাড়ির এই দুই গোষ্ঠীর বিদ্রোহী মনোভাবে সরগরম মতুয়া সমাজের রাজনীতি।
নিজের বক্তব্য পেশ করতে, সঠিকভাবে বলতে গেলে বিজেপির উপর একপ্রকার চাপ সৃষ্টি করতেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মঞ্জুল কৃষ্ণ। তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপির কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্ব শান্তনু ঠাকুর এর সঙ্গে যোগাযোগের পর থেকেই বিজেপির নানান কর্মসূচিতে মতুয়ারা অংশ নিতে শুরু করেন। তাঁরা আশায় ছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিজেপি রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রে তাঁদের প্রতিনিধিদের প্রার্থী করবে। সেই মর্মে মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ৩০ টি আসন দাবি করা হয়, যে আসনগুলিতে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচনে লড়াই করবেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, মতুয়া সম্প্রদায়ের একজনকেও প্রার্থী করল না বিজেপি।’ মঞ্জুল কৃষ্ণের দাবি অনুযায়ী, এই ঘটনাতে গোটা ভারতের মতুয়া সমাজ বিজেপির উপর ক্ষুব্দ। তাই তাঁরা কাকে ভোট দেবেন, তার দায়িত্ব ঠাকুরবাড়ি বিশেষ করে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মঞ্জুলপন্থীরা দায়িত্ব নেবেন না বলেও এদিন মঞ্জুলকৃষ্ণ সাংবাদিকদের কাছে অভিমত প্রকাশ করেন। তাঁর এই অভিমত এর মধ্যে যে বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রচ্ছন্ন হুমকি রয়েছে, তা স্পষ্ট। তবে আগামী দিনে মতুয়ারা আলাদা রাজনৈতিক দল গড়ে নির্বাচনে লড়াই করবেন কিনা সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেননি তিনি। এ ব্যাপারে শান্তনু ঠাকুর কোন প্রতিক্রিয়া সংবাদমাধ্যমের কাছে দেননি।
মঞ্জুল কৃষ্ণের পাশাপাশি তৃণমূলের প্রতিও অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরও। তার বক্তব্য, তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রাজ্যে মাত্র ৫ টি আসনে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে প্রার্থী করার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু দল তাঁর কথা রাখেনি বলে জানান মমতা ঠাকুর। এদিন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এর সাংবাদিক বৈঠক এর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজেপি এবং শান্তনু দুজনেই যে মতুয়াদের ভাওতা দিচ্ছেন, তা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এর অভিযোগেই প্রমাণিত।’