দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বেনজির অচলাবস্থা তৈরি হল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টিবি নারায়ণ রাধাকৃষ্ণণকে চিঠি লিখে সরকারি প্যানেলের আইনজীবীরা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করছেন। ফলে অন্যান্য মামলার সঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা— বনগাঁ, হালিশহর এবং গঙ্গারামপুর পুরসভার মামলা নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম জটিলতা। আর সরকারি আইনজীবীদের এই আদালত বয়কটের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, “সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চাইছেন সরকারি আইনজীবীরা।”
সোমবার দুপুরে গঙ্গারামপুর পুরসভা এবং বনগাঁ পুরসভার মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের চেয়ারম্যান আস্থাভোট ডেকেছেন। পাল্টা আদালতে হাজির হয়েছেন কয়েকজন কাউন্সিলর। মামলা গৃহীত হয়েছে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে তীব্র জটিলতা এই মামলাগুলি নিয়ে।
বনগাঁ মামলার শুনানিতে গত কয়েকদিন আগেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে বলেছিলেন, “চেয়ার আঁকড়ে বসে আছেন! আপনি এত নির্লজ্জ কেন?” বিধাননগর মামলার শুনানিতে বিচারপতির সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ক্ষমাও ভিক্ষা করতে হয় তাঁকে।
এ দিন বিকাশবাবু বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টে এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি। সরকারি আইনজীবীরা আদালতকে ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছেন। তাঁরা সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চাইছেন।” তিনি আরও বলেন, “কোনও মক্কেলের ব্যক্তিগত আইনজীবী হলে এক কথা, কিন্তু সরকারি প্যানেলের আইনজীবীরা এটা করতে পারেন না। কারণ সরকার একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ছেলেমানুষির একটা সীমা থাকে।”
সরকারি প্যানেলের আইনজীবীরা কী কারণে বয়কট করছেন, প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। এখন দেখার, প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ করেন কি না। কখন কাটে হাইকোর্টের জটিলতা।