বাড়ি ফিরতে চাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ঠেকাতে হবে সংক্রমণও:‌ প্রধানমন্ত্রী

0
1405

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্র চেয়েছিল যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। কিন্তু মানুষ ঘরে ফিরতে চাইবেনই। তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে। ১৭ মে–র পর লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশ জুড়ে যখন কাটাছেঁড়া চলছে, সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হতে চলেছে। এর পরে লকডাউন আরও বাড়ানো হবে নাকি, কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই।


তার মধ্যেই সোমবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্ন্দ্যোপাধ্যায়, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান–সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন–সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ওই বৈঠকে শামিল ছিলেন।


বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন, এমনটাই চেয়েছিল সরকার। কিন্তু মানুষ বাড়ি ফিরতে চাইবেনই। তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে আমাদের। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, সংক্রমণ যেন কোনওভাবেই গ্রামগুলিতে পৌঁছতে না পারে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব বুঝেছেন এবং সেইমতো করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ক্যাবিনেট সচিব। আমাদের আরও সজাগ হতে হবে। ভারসাম্য বজায় রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হতে হবে সকলকে। সকলের পরামর্শ মেনেই গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।’


এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম বার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউন নিয়ে এ দিন তাঁকে নিজেদের  মতামত জানান মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে আরও গতিশীল করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় ও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা নিয়েও আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে।

পরিস্থিতি যে গুরুতর তা বোঝাই গেছে আজকের বৈঠকে। কারণ এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করছেন। এই প্রথম সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এমনকি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আর্থিক সহায়তাদানের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীরা দাবি তুলেছেন আজকের বৈঠকে।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী মোদিকে বুঝিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে ৩১ মে পর্যন্ত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখতে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি বলেছেন, ‘‌খাদ্যদ্রব্যের দোকান খোলা রাখা দরকার।’‌ এমনকি পরিস্থিতি বুঝে পরিবহণ, শপিং মল চালু করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেছেন, যাত্রাবাহি ট্রেন যেন এখনই না চালানো হয়। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

Previous articleহাওড়া থেকে দিল্লির ট্রেন ছাড়বে মঙ্গলবার, ন্যূনতম ভাড়া ১৯০০ টাকা
Next articleপ্রয়াত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান নির্মলেন্দু বিশ্বাস (আইনজীবী)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here