দেশের সময়, ঠাকুরনগর: বারুণী স্নান উপলক্ষে ঠাকুরনগরে অনুষ্ঠিত মতুয়া মেলা নিয়ে ফের ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এলো মমতা বালা ঠাকুর মেলা বন্ধের পক্ষে মতামত দিলেও মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে মত দিলেন শান্তনু ঠাকুর আর এই নিয়েই ঠাকুরবাড়ি দ্বন্দ্ব নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে মতুয়া ভক্তদের মধ্যে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছর ঠাকুরনগরের মতুয়া মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘ। দু’দিন আগেই সেকথা সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন সংঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। আর ঠিক তার একদিন পরেই পালটা বক্তব্য শোনা গেল শান্তনু ঠাকুরের মুখে। পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, মেলা বন্ধ করার অধিকার আমাদের কারো নেই। মেলা যেমন হয় তেমনি হবে। ভক্তরা যারা মেলায় আসতে চান তারা আসবেন। দোকানপাটও বসবে। ঠাকুরবাড়ির দুই গোষ্ঠীর এই দু’রকম মতামতে বিভ্রান্ত মতুয়া ভক্তরা।
প্রতিবছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে বিশেষ স্নান যাত্রার অনুষ্ঠান হয়ে আসছে বহু বছর ধরেই। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঠাকুর বাড়ি সংলগ্ন মাঠে সাত দিনের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয়, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমন কি বিদেশ থেকেও হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত সেখানে উপস্থিত হন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর সেই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এবছরও মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন মমতাবালা ঠাকুর এবং তার অনুগামী মহা সংঘের কর্তারা। অথচ অন্য গোষ্ঠীর সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের মুখে শোনা গেল অন্য সুর। তার দাবি মেলা না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভক্তরা চাইলে মেলায় আসবেন। এভাবে মেলা বন্ধ রাখা যায় না। নিন্দুকদের বক্তব্য, এই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘের কারো কারো বড় ধরনের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। আর তার জন্যই এরকম দ্বিমত পোষণ করা হচ্ছে।