বাতাসে হেমন্তের শিরশিরানি, বাংলাজুড়ে শীতের আমেজ

0
426

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে শীতের মরশুম। কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও বাতাসে রয়েছে হেমন্তের শিরশিরানি। গতকাল বেলা গড়ানোর পর আকাশ পরিষ্কার হতেই একধাক্কায় ২ ডিগ্রি বেশি পারদ পতন হয়েছে শহরে।

গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের মধ্যে কমে সেটাই হয়েছে ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সিনের বেলায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভোরের দিকে এবং রাতের বেলা তাপমাত্রা কমার ফলে শিরশিরানি থাকলেও দিনেরবেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শহরে যে পারদ পতন হবে সেকথা গতকালই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মিলে গিয়েছে সেই পূর্বাভাস। একরাতে কলকাতায় তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস আগামী চারদিনের মধ্যে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে উষ্ণতা। রাজধানী শহর দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও দিয়েছে হাওয়া অফিস। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে শীতের মরশুম। কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও বাতাসে রয়েছে হেমন্তের শিরশিরানি। গতকাল বেলা গড়ানোর পর আকাশ পরিষ্কার হতেই একধাক্কায় ২ ডিগ্রি বেশি পারদ পতন হয়েছে শহরে। গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাতের মধ্যে কমে সেটাই হয়েছে ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সিনের বেলায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভোরের দিকে এবং রাতের বেলা তাপমাত্রা কমার ফলে শিরশিরানি থাকলেও দিনেরবেলায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।


আলিপুর জানিয়েছে, আজ অর্থাৎ বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহ শেষে শহর ও শহরতলির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামবে বলেই অনুমান করছেন আবহবিদরা।

দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পারদ পতনের পাশাপাশি উষ্ণতা কমবে উত্তরের জেলাগুলিতেও। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের উপরের দিকে জেলা যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি, এই পাঁচ জেলায় হাল্কা এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আগামী ২৪ ঘণ্টা পর থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শীতের আমেজ টের পাওয়া যাবে বেশ ভাল ভাবে। রাতের দিকে একলাফে অনেকটাই পারদ পতন হতে পারে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে অসম, মেঘালয়য়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামেও।

উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। আর তার জেরেই হবে বৃষ্টিপাত।


অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তামিলনাড়ু উপকূলে রয়েছে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। এছাড়াও দেশের দক্ষিণ ভাবে যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু। এর প্রভাবে তামিলনাড়ু, কেরল সংলগ্ন দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

Previous articleপ্রেমের ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে ওঠার সম্ভবনা! আপনার রাশিফল মিলিয়ে দেখুন:
Next articleআত্মহত্যায় প্ররোচনা!‌ গ্রেপ্তার সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here