দেশের সময় : বনগাঁ ক্রিকেটের কারিগর তিনি। তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছে  অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অভিষেক রামনের মতো ক্রিকেটাররা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা তথা ভারতকে ক্রিকেটার সাপ্লাই করছেন। ভালো ক্রিকেটার তৈরিতে  নিরলস প্রচেষ্টায় মগ্ন তিনি। দেশের সময়কে জানালেন তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের কথাঃ


 
প্রশ্ন- দীর্ঘদিন ধরে বাংলা ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইনের কাজ করছেন। এর জন্য আপনার বাংলা ক্রিকেট আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
নির্মাল্য- ধন্যবাদ। দেখুন আমি আমার কাজটা করে যাচ্ছি সঠিকভাবে। আমার কাজ ক্রিকেটার তৈরি করা। সেটাই করছি। অভিমন্যু ইশ্বরণ, অভিষেক রামনের মতো ক্রিকেটাররা আমার হাতেই তৈরি। যাদের হাতে বাংলা ও ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আমি থেমে নেয়। ভবিষ্যতে যাতে বাংলাকে আরও ভালো মানের ক্রিকেটার উপহার দিতে পারি তার জন্য নিবির প্ররিশ্রম করছি।
আপনার  অ্যাকাডেমিতে কত জন ক্রিকেটার রয়েছে? 


নির্মল্য- আমি ২৪ বছর ধরে বনগাঁ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি চালাচ্ছি। বনগাঁ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করাই ছেলেদের। আমার অ্যাকাডেমিতে এখন ১০০ জন ক্রিকেটার অনুশীলন করে। তার মধ্যে ৩০ জন রয়েছে আবাসিক অ্যাকাডেমিতে। বাকি ৭০ জন স্থানীয় ক্রিকেটার। তারা অনুশীলন করে বাড়ি চলে যায়। 
প্রশ্ন- স্থানীয় ক্রিকেটাররা কতটা ভালো? 
উ- সুদীপ বিশ্বাস, সার্থক দাস, দেবরাজ বসুদের মতো স্থানীয় ক্রিকেটার রয়েছে আমার অ্যাকাডেমিতে। এরা খুবই প্রতিশ্রতিবান। এক সময় এরা বাংলা খেলবেই। কলকাতা, দমদম থেকে আমার অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করতে আসে। ওরা অনুশীলন করে বাড়ি চলে যায়। দেরাদুন, দিল্লি  ও অন্য রাজ্যের ক্রিকেটাররা রয়েছে আবাসিক অ্যাকাডেমিতে।
প্রশ্ন -আপনার  অ্যাকাডেমির সেরা প্রতিভা? 
উঃ- আমার অ্যাকাডেমির সেরা প্রতিভা অবশ্যই অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তবে অভিষেক রামন রয়েছে। কুনাল কুমার, তানি রাণার মতো তরুণ প্রতিভা রয়েছে। এরা সময় সিনিয়র বেঙ্গল খেলবে। দিব্য মজুমদার এখন অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলা খেলছে। ওঁ এক সময় আমার কাছে অনুশীলন করত। 
প্রশ্ন – মহম্মদ সামির বাংলা খেলার নেপথ্যে তো আপনিই?
উঃ হ্যা । ঠিকই বলেছেন মহম্মদ সামিতে আমিই উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলাম। এখান থেকেই ও প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মহম্মদ সামির ভাই মহম্মদ কায়েফও আমার কাছে অনুশীলন কবে। ওঁ প্রতিশ্রুতিবান। একদিন বড় ক্রিকেটার হবে।
প্রশ্ন-  বাংলা ক্রিকেটার দায়িত্ব অভিমন্যু ঈশ্বরণের হাতে। কেমন বুঝছেন?
উঃ-সঠিক লোকের হাতেই বাংলা ক্রিকেটের দায়িত্ব রয়েছে। খুব কাছে গিয়েও এবার রঞ্জি জিততে পারল  না বাংলা। তবে আমি নিশ্চিত ওঁর অধিনায়কত্বেই বাংলা রঞ্জি জিতবে। ওঁর মাথা খুব ঠাণ্ডা। কোনও ইগো নেই। অভিমন্যু দেরাবুন থেকে এসেছিল। আমার ঘরে মানুষ। আমি ওকে ভালো করে চিনি। ওর হাত ধরেই বাংলা সাফল্য পাবে।
প্রশ্ন- এখনও পরামর্শ নেই আপনার কাছ থেকে?
উঃ অবশ্যই। এখনও টিপস নেই আমার কাছ থেকে। সব সময় যোগাযোগ রয়েছে ওঁর সঙ্গে। 
প্রশ্ন- ভারতীয় দলে খেলার মতো বাংলার কোন কোন ক্রিকেটার রয়েছে?
উঃ অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও ঈশান পোড়েল। এই দুই ক্রিকেটার, যারা একদিন বাংলা থেকে ভারতীয় দলে খেলবে। 
প্রশ্ন- বনগাঁ ছাড়াও অন্য কোনও অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত?
উঃ দেরাদুনের অভিমন্যু ক্রিকেট  অ্যাকাডেমির কোচ আমি। এছাড়া দিল্লির হ্যারি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ পরামর্শদাতা আমি। 
প্রশ্ন- আপনার  লক্ষ্য কী? 
উ-আমার লক্ষ্য বাংলা ক্রিকেটের উন্নতি। প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা খেলুক। কোনও দলাদলি চাই না। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here