দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: মোট ১২ দফা দাবিতে বাম-ডান একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারশনগুলি ৮ জানুয়ারি সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কিন্তু বাংলায় সেই বনধ বা ধর্মঘট হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার গঙ্গাসাগর গিয়েছেন মমতা। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বাংলায় কোনও বনধ হচ্ছে না।” সরকারে আসার পর থেকেই বারবার বনধ তথা ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মমতা। এবারও তার অন্যথা হল না। শুধু মৌখিক হুঁশিয়ারি নয়। সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে ওই দিন কাজে যোগ দিতে হবে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা হাসপাতালে আছেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ বা মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে না। যে সমস্ত কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের একদিনের বেতন কাটা হবে বলে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে কর্মজীবন থেকে একদিন ছেদ পড়বে। সাধারণ কর্মচারীরা বনধের আগের দিন বা পরের দিন সিএল নিতে পারবেন না।
সোমবার কপিলমুনির আশ্রমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “বাংলার সরকার বনধ সমর্থন করে না। এমনিতেই দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলছে। সেটা আমাদের দেখতে হবে। দেশের মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় সেটাও আমাদের দেখা উচিত।” বনধকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা৷
মমতার এই বক্তব্য নিয়ে বাম শ্রমিক নেতা শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “ধর্মঘট তো ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। তাহলে ওঁর এত গায়ে জ্বালা কেন?” তিনি আরও বলেন, “পারলে ধর্মঘট রুখে দেখাক মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি-বিরোধী ছদ্ম মুখোশটা খুলে যাবে। মানুষ দেখবে, মোদীর বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকলে দিদি নামেন সেই ধর্মঘট ভাঙতে।”
২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছিল। হাওড়া, শিয়ালদহের একাধিক শাখায় ট্রেন পরিষেবা থমকে গিয়েছিল। এবার কী পরিস্থিতি হয় এখন সেটাই দেখার।