দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাত্র ২০ দিন আগেও চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ জন। সেই সংখ্যা বাড়ছে বিগত এক সপ্তাহ ধরে। ৪০০ থেকে মাত্র ১৫ দিনে বাংলার করোনা গ্রাফ লাফ দিয়ে পৌঁছেছে ৪ হাজারে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। উদ্বেগ বাড়িয়ে কমছে সুস্থতার হারও। রাজ্যে সুস্থতার হার এই মুহূর্তে ৯৪.৪১ শতাংশ।
বাংলায় কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই দুই জেলার সংক্রমণ চিন্তার ভাঁজ ফেলছে প্রশাসনের কপালে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতাতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৭ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনাতে করোনা থাবা বসিয়েছে ৬২৮ জনের শরীরে।
এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৮২ জন। দেশেও করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা পজিটিভ এক লাখ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯০ হাজার ৫৮৪ হন। মৃত্যু হয়েছে ৮৩৯ জনের। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৫। যার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ৮৭।
এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে হু হু করে বাড়ছে করোনা। ভোটমুখী বঙ্গের করোনা গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে ভেঙে গেল সব রেকর্ড। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৮ জন। করোনা সংক্রমণ শুরুর সময় থেকে এক দিনে এত জন কখনও আক্রান্ত হননি। ভেঙে গিয়েছে কলকাতার পুরনো রেকর্ডও। নতুন করে শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০৯ জন। এর আগে কখনও কলকাতায় সংক্রমণ হাজার ছাড়ায়নি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণ রুখতে এখন কড়া হচ্ছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন চললেও একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে। তাও প্রতিদিনই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুলেটিনে দেখা গিয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে পরীক্ষা হয়েছে মোট ৪০ হাজার ৩৭২ জনের। তার মধ্যে ৪ হাজার ৩৯৮ জনের করোনা ধরা পড়েছে। অর্থাৎ ১০ শতাংশের উপরেই রয়েছে করোনা সংক্রমণের হার। উল্লেখ্য, শনিবারও রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজারের উপরে।
রবিবার দেশজুড়ে ‘টিকা উৎসব’-র সূচনা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা রুখতে টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এদিন জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে মোদী ঘোষিত টিকা উৎসব। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অর্থাৎ ১১ এপ্রিল জ্যোতিবা ফুলে জয়ন্তী থেকেই দেশে টিকা উৎসব শুরু হল। বাবা সাহেব আম্বেদকর জয়ন্তী (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। করোনার বিরুদ্ধে এটি আমাদের দ্বিতীয় যুদ্ধ। তাই ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সমাজকে পরিচ্ছন্ন রাখুন।’