দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃকর্তৃপক্ষ মনে করলে বিদ্যাদেবীর আরাধনা হতে পারে কলেজ-বিশ্বাবিদ্যালয়ে। তবে বিদ্যালাভ আপাতত অনলাইনে। অন্তত আগামী এক মাস এমনটাই চলবে। মাসখানেক পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা হলেও পশ্চিমবঙ্গে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় এখনই খুলছে না। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বুধবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকে এখনই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষে শারীরিকভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরুর বিপক্ষেই প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এখনই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুলছে না। আগামী মার্চ মাসে যে বিজোড় সেমেস্টারের (প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ইত্যাদি) পরীক্ষা আছে তা বাড়ি থেকেই দিতে পারবেন পড়ুয়ারা। তবে ক্ষেত্র বিশেষে গবেষণারত পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের অনুমতি দিতে পারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা নয় কেন? শিক্ষামন্ত্রীর জবাব, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের স্বাধিকারের পক্ষে। ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকার তার সঙ্গে সহমত হয়েছে।’

করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে শারীরিকভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠন শুরুর চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে উঁচু ক্লাস অর্থাৎ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে, সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্কুলে পঠনপাঠন হতে পারে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তবে স্কুলে এখনই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে উপস্থিতির মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরুর বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে না। পরে পরিস্থিতি অনুসারে ধাপে ধাপে এই বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণার জেরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। বিশেষত, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস খোলার আর্জি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক- সবার স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এখনই এই ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here