বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর, দোষীদের কড়া শাস্তির বার্তা হাসিনার

0
608

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের কুমিল্লা-সহ একাধিক দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভাংচুরের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,  “দোষীদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে, ভবিষ্যতে এমন করতে কেউ সাহস না পায়।”

দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পড়শি বাংলাদেশেও একাধিক পুজোমণ্ডপ হয়ে থাকে প্রতি বছরই। উৎসবমুখর পরিবেশে মেতে ওঠেন সকলে। হিন্দুরা তো বটেই, মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষও এই উৎসবে অংশ নেন।

কিন্তু এ বছর সেই সম্প্রীতির ছবি বদলে দিল দুষ্কৃতীরা। আগেই খবর ছিল, এবছরের পুজোয় হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে সক্রিয় হতে পারে জঙ্গিরা। কিন্তু প্রশাসনও তৎপর ছিল, তাই বড় কোনও হামলার ছক বাস্তব করা সম্ভব হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু হঠাৎই যেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে পবিত্র কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে আচমকা। এই নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরেও হামলা চালানো হয়।

বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব প্রতিমা ভাঙার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এক কিশোর-সহ চার জনের মৃত্যুও হয়েছে।  স্বাভাবিক ভাবেই সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়ে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

এর পরে নবমীর দিন রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটি আয়োজিত দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেকানেই তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায়, “আমরা এই ঘটনার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যেখানে যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে সেখানেই দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। আমরা অতীতেও এমনটা করেছি এবং আমরা সেটা করতেও পারব। যথাযথ শাস্তি তাদের দিতে হবে। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে, ভবিষ্যতে এমন করতে কেউ সাহস না পায়। আপনার সবাই ভাল থাকুন, সেটাই আমরা চাই।”

হিন্দুদের উদ্দেশেও প্রধানমন্ত্রী আলাদা করে বার্তা দেন। তাঁর কথায়, “আমি আপনাদের আবারও অনুরোধ করব, আপনার কখনওই নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। আমরা আপনাদের সংখ্যালঘু নয়, আপনজন বলেই মানি। আমাদের এই দেশের নাগরিক হিসেবে মানি। সম-অধিকারে আপনারা এখানে বসবাস করেন, আপনারা সমঅধিকার ভোগ করবেন। সমঅধিকার নিয়ে আপনাদের ধর্ম পালন করবেন, উৎসব পালন করবেন। সেটাই আমরা চাই।’’

Previous articleআলো ঝলমলে আভিজাত্যের প্রতীক , ৬০-৬১ বেনে পুকুর সার্বজনীনে সন্ধিপুজোর মুহূর্ত ধ্রুব হালদারের ক্যামেরায়
Next articleসাড়ম্বরে মুক্তি পেয়ে জমজমাট কভার ভিডিও “ফিলহাল ২”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here