দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ
মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে! কলকাতা শহরের নেতাজিনগর এলাকার এই ঘটনায় স্তম্ভিত শহরবাসী। ফের প্রশ্ন উঠেছে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। তা হলে কি স্কুল থেকে বাড়ি, কোথাও-ই নিরাপদ নয় কোনও বয়সের মেয়েই!
পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই রাজীব চক্রবর্তী নামের এক গৃহশিক্ষকের লালসার শিকার ওই নাবালিকা। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বিজ্ঞান বিভাগের পড়া দেখিয়ে দিত অভিযুক্ত রাজীব। সোমবার মেয়েটির পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৪২ বছরের ওই গৃহশিক্ষককে। আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
সূত্রের খবর, যে বন্দুক দিয়ে ছাত্রীকে ভয় দেখানো হতো, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠি এলাকার অভিজাত স্কুলের পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে এত দিন ধরে সকলের চোখ এড়িয়ে কী করে এমনটা ঘটেছে, কেনই বা ওই কিশোরী আগে প্রতিবাদ করেনি, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
নতুন কায়দায় যৌন নির্যাতনের ঘটনা খাস কলকাতায়। দিনের পর দিন একাধিক ছাত্রীকে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ করত রাজীব চক্রবর্তী নামে ওই শিক্ষক বলে অভিযোগ। নেতাজি নগরে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ অভিযোগ বন্দুকের সামনে রেখে ভয় দেখিয়ে ছাত্রীটির উপর যৌন নির্যাতন চালাত গৃহশিক্ষক রাজীব৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা রানিকুঠির নামী স্কুলের ছাত্রী৷ প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি ছাত্রী। পরে ঘটনার কথা জানতে পেরে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতার অভিভাবকরা। তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তে বাড়ি থেকে মিলেছে কার্তুজ। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে আরও এক ছাত্রী। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে। সেখানেই রাজীব চক্রবর্তীকে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, নিজের বাড়িতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের পড়াত রাজীব। টিউশনের আড়ালেই চলত এই কাজ। রীতিমতো প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভয় দেখাত ওই শিক্ষক। পড়তে না এলে কার্যত ছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে যেত সে। এমনকী ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়েও চলত যৌন নির্যাতন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ভয়ের কারণেই এতদিন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি ছাত্রীরা। ইতিমধ্যেই দুটি অভিযোগ জমা পড়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।