দেশের সময় ওয়েবডেস্ক ঃ নকল ব্রান্ড ব্যবহার করে ভেজাল সর্ষের তেলের কারবার চালানোর অভিযোগ উঠল বনগাঁর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সন্ধেয় জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার অফিসারেরা এই নকল তেলের কাখানায় হানা দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। যদিও অভিযুক্ত ব্যবসায়ী পলাতক। পাশাপাশি রিষড়া ও উত্তরপাড়ায় পুলিসি তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে নামি কোম্পানির প্রচুর প্রসাধনী দ্রব্য এবং চা।
বনগাঁ থানার গোবরাপুরে নিজের বাড়ির ভেতরেই একটি গুদামে ভেজাল সর্ষের তেল তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে বিকাশ ওরফে বিবেক সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ওই কারখানায় হানা দেন অফিসাররা। সেখান থেকে তাঁরা তেলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। গুদাম থেকে প্রচুর ভেজাল তেল ভর্তি টিন, খালি টিন, রাসায়নিক উদ্ধার করেছেন। গুদামটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন। বিকাশের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। যদিও তাঁর আত্মীয়া সীমা হোড় দাবি করেছেন, বিকাশ কোনও অবৈধ কারবার করতেন না। এদিকে, শনিবার চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা রিষড়া বাগখাল এলাকায় হানা দিয়ে নামি কোম্পানির প্রচুর নকল তেল, সাবান, শ্যাম্পু ও হ্যান্ডওয়াশ আটক করেছেন। এখানকার বাসিন্দা বাবলু সাউয়ের বাড়িতে ডেটল, ডাবর, টাটা নিহার, পামলিভের মতো নামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী নকল করে প্যাকেটজাত করার কাজ চলত। একইসঙ্গে উত্তরপাড়ায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নকল ডিটারজেন্ট এবং চা। চারজনকে আটক করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রের খবর , বনগাঁর নানা প্রান্তে গোপনে ভেজাল সর্ষের তেলের কারবার চলছে। খোলা বাজারে তো বটেই পাইকারি বাজার ঘুরে যা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার নানা প্রান্তে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। বনগাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীরা জানাচ্ছেন,একদল অসাঁধু ব্যাবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে বাজেয়াপ্ত রাসায়নিক তেল কমদামে কিনে স্থানীয় কিছু সরষেতেল কারখানার মাধ্যমে,নামি কোম্পানির নামে ,স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন অতিরিক্ত মুনাফার লোভে৷ “বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো জানান,এই সমস্ত ভেজাল সর্যের তেল রান্নার কাজে ব্যাবহার করলে,সেই তেল শরীরে ঢুকে লিভার এবং কিডনি নষ্ট করে দেবে।এমন কি দীর্ঘ দিন এই ভেজাল তেল ব্যাবহার করলে মৃতুও হত্তয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি ভাবে থেকে যাচ্ছে৷ “বনগাঁ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনীল কুমার রায়,বলেন পুলিশ তৎপরতার সাথে কাজ করছে,এই ধরনের তেলের ভেজাল চক্র ধরতে স্থানীয় মানুষকেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে৷