দেশের সময়ঃ আস্থা ভোটকে ঘিরে মঙ্গলবার এর ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার প্রতিবাদ মিছিল বের করল বিজেপি। এর পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিও রাজ্য পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ভৎসনা করেন। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার বনগাঁ পৌরসভায় আস্থা ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। তৃণমূল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকলেও বিজেপি সেই সময় উপস্থিত না থাকায় তারা জয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের দুই প্রতিনিধিকে ঢুকতেই দেয়নি। পরবর্তীতে তাদের ১১ জন কাউন্সিলর আলাদা করে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন।
এ ব্যাপারে বুধবার তারা ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাদের পক্ষের আইনজীবী বিচারপতির সামনে প্রসঙ্গ তুলতেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন তিনি ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। তাকে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই ।
বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল জানান বৃহস্পতিবার তারা হাইকোর্টের কাছে নতুন করে পিটিশন জমা দেবেন। তিনি আরো বলেন হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বনগাঁর পুলিশ প্রশাসন বিজেপি কাউন্সিলরদের এভাবে হেনস্থা করে বৈঠকে যেতে বাধা দেয় । ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ।
মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিজেপি । মতিগঞ্জ থেকে শুরু হয় এই মিছিল শহর পরিক্রমা করে৷
এদিকে বুধবার সকালে পৌর প্রধান হিসেবে শংকর আঢ্য অনুগামী কাউন্সিলরদের নিয়ে পুরসভায় ঢোকেন। পুরপ্রধান হিসেবে এদিন কাজ শুরু করেন । এ ব্যাপারে এদিন তিনি বলেন সরকারি নিয়ম মেনে আমরা মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু যারা মিটিং ডেকেছিল তারা সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় আমরা একতরফা জিতে যাই।
পরবর্তীতে বিজেপি কাউন্সিলররা নিজেদের মতো করে মিটিং করে নির্বাহী আধিকারিককে দিয়ে জোর করে খাতায় সই করিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালত সবার জন্য। সেখানে যে কেউ যেতে পারে।এদিনপুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য পুরসভার সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখেন এবং সমস্ত কর্মচারীদের সাথে সৌজন্যমুলক সাক্ষাতকারের পরে নিজের কাজে ব্যাস্ত হতে দেখা যায় তাকে৷ ফের বিকাল থেকে বিজেপির বিক্ষোভ ,প্রতিবাদ মিছিল শহরের রাস্তায় বেরতেই ,শহরে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানিয় মানুষ!