দীপ বিশ্বাস,দেশের সময় বনগাঁ:অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট হতে চলেছে বনগাঁ পৌরসভার। বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোটাভুটি এবং তা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা হয়। আর এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। যদিও যে পরিস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল তার এখন অনেকটাই বদলে গেছে। ফলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের কোন মূল্য এই মুহূর্তে নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২২ আসন বিশিষ্ট বনগাঁ পুরসভার প্রধান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে দু’দফায় অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলেরই ১৪ জন কাউন্সিলর । এই নিয়ে দলের মধ্যে নানা টানাপোড়েন চলে। অবশেষে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ১১ জন কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফিরে এসে তারা কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মূল বক্তব্য ছিল অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট গ্রহণ পর্ব পরিচালনা করা।
হাইকোর্টের নির্দেশে বনগাঁ পৌরসভায় ভোটগ্রহণের পর্ব হয় । কিন্তু সেখানে বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তাদের কয়েকজন কাউন্সিলরকে সময় মত ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। ফলে সঠিকভাবে এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। এই বিষয়টি ফের তারা হাইকোর্টকে জানান।
হাইকোর্ট তার নিন্দাও করে। ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে চারজন তৃণমূলে ফিরে আসেন। এই ঘটনার পর দিনকয়েক আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে ১২ দিনের মধ্যে জেলাশাসকের দপ্তরে এই অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে নতুন করে ভোট গ্রহণ করতে হবে। তারই প্রেক্ষিতে জেলাশাসক ৩০ আগস্ট একটি চিঠিতে পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলার এবং এক্সিকিউটিভ অফিসারকে চিঠি দিয়েছেন।
৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনিক ভবনে সকাল ১১ টায় ভোটগ্রহণ হবে। এ ব্যাপারে বিদ্রোহী
কাউন্সিলর সোমাঞ্জনা মুখার্জী জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আমরা ভোটগ্রহণ পর্বে অংশ নেব। তাতে ফলাফল যা হয় হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল কাউন্সিলর দিপালী বিশ্বাস বলেন,
সংখ্যার নিরিখে এখন তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ১৪।
স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের জয় হবে এবং শংকর আঢ্যই ফের পুরপ্রধান হবেন। এ ব্যাপারে দেশের সময়ের পক্ষ থেকে শংকর আঢ্যর প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।