বনগাঁ কেন্দ্রে ভোট প্রচারে যুযুধান দুই পক্ষ

0
1788

নিজস্ব প্রতিবেদন, বনগাঁ::প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচারে জোর দিয়েছেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।

যদিও তার অনেক আগে থেকেই প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুরের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মমতা ঠাকুর। একই পরিবারের অথচ দুই দলের এই দুই প্রার্থী কে নিয়ে ভোটের লড়াই এখন তুঙ্গে।

শুক্রবার সকাল থেকে বনগাঁ কেন্দ্রের সহিষপুর এলাকায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করলেন শান্তনু ঠাকুর । অন্যদিকে ধরমপুর এলাকায় প্রচার সার়লেন মমতা ঠাকুর।

২০১৫ সালের লোকসভা উপনির্বাচন এ বনগাঁ কেন্দ্রে মমতা ঠাকুর এর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এর বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুর। কিন্তু সেই নির্বাচনে সুব্রত ঠাকুর তার জেঠিমার কাছে হেরে যান। সাংসদ হয়ে নিজের মতো করে এলাকায় উন্নয়নের কাজ করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার পাশে দাঁড়িয়ে নানান পরামর্শ দিয়েছেন। এমনই দাবি করেছেন গাইঘাটার তৃণমূল নেতা ধ‍্যানেশনারায়ন গুহ। তার আশা মমতা ঠাকুর চার বছরে সাধারণ মানুষের জন্য যে কাজ করেছেন তাতে তার জেতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বরং জেতার ব্যবধান ভোটের নিরিখে আরো বাড়বে।

অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর কে প্রার্থী করে বিজেপি একটা মক্ষম চাল দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল। তিনি বলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে শান্তনু ঠাকুর এখন গ্রহণ যোগ্যতার দিক থেকে অন্যতম। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজের জেঠিমাকে হারাতে বদ্ধপরিকর শান্তনু। আমরা তার জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। তিনি আরও জানান সাধারণ মানুষের কল্যাণকামনা করে, শান্তনু ঠাকুরকে পাশে নিয়ে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো পাঠ ও সারছেন ভোট প্রচারের ফাঁকে৷

ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে প্রত্যাশিত মতো মমতা ঠাকুরকে বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়৷

কিন্তু বিজেপি তাদের প্রার্থী নিয়ে দোদুল্যমান ছিল। প্রার্থী হিসেবে একাধিক নাম উঠে আসে। শেষ পর্যন্ত শান্তনু ঠাকুর কে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রথমদিকে আপত্তি জানালেও মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের আবেদন মেনে শান্তনু ঠাকুর ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলে নিজে দাবি করেছেন।

এখন দেখার মতুয়া ভোট মমতা ঠাকুর না শান্তনু ঠাকুর কার দিকে বেশি পড়ে। তার উপরে নির্ভর করছে এই কেন্দ্রের জয়।

Previous article২৯ দিনের মাথায় অনশন প্রত্যাহার এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের
Next articleমনে ক্ষোভ নিয়েই বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে নামতে চান দুলাল বর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here