দেশের সময়, বনগাঁ: বনগাঁয় তৃণমূলকে জোড়া ধাক্কা দিতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর আজ সোমবার বিজেপির দিল্লির কার্যালয়ে সুনীল সিংয়ের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভগ্নিপতি নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিং যে গেরুয়া শিবিরে যাবেন তা তৃণমূলের অন্দরমহলের দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। কিন্তু রবিবার দুপুরের পর থেকে বিশ্বজিৎ দাসকে ফোনে না পাওয়ার ঘটনা জানতে পেরেই জল্পনা শুরু হয় তৃণমূলের অন্দরে।বিধায়ক ঘনিষ্ঠরাও এই বিষয়ে ইতি বাচক ইঙ্গিত দেন৷
রাতে তৃণমূল নেতৃত্ব খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে দিল্লিতে রয়েছেন বিশ্বজিৎ। তাঁর সঙ্গে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বনগাঁ পৌরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্ম প্রতীকের ঝান্ডা হাতে তুলে নেবেন। এবারের লোকসভা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁ লোকসভার অধীন একমাত্র স্বরূপনগর বিধানসভা ছাড়া বাকি ছটি বিধানসভাতে গোহারা হেরেছে তৃণমূল।
তবে বিশ্বজিৎ দাসের দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যায় বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে তাঁর বিবাদই এর প্রধান কারণ এবং তার জেরেই বিজেপিতে যাচ্ছেন উওর বনগাঁর বিধায়ক এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে। সম্প্রতি বিশ্বজিৎ দাস পন্থী বনগাঁর কাউন্সিলর ১১ জন কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন শঙ্করের বিরুদ্ধে।
দলের জেলা নেতৃত্বকে বিশ্বজিৎ দাসের অনুগামীরা শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বহুবার, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর মাথায় জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিশ্বজিৎপন্থীদের।
আর তার জেরেই বিশ্বজিত সহ তাঁর অনুগামীরা গেরুয়া শিবিরমুখী হয়েছেন। তৃণমূলের বিধায়কদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ বলেন, “যে বিধায়ক বা পৌরসভা কিংবা পঞ্চায়েতের সদস্যরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাদের মনে রাখতে হবে দল তাদের ওপর আস্থা রেখেছিল বলেই আজ তারা বিধায়ক, পৌরসভার চেয়ারম্যান কাউন্সিলর পঞ্চায়েত সদস্য হতে পেরেছিলেন। এভাবে দলবদল করা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার সমান।”
উল্লেখ্য অবশেষে গত রবিবার জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে সরানোর দাবিতে যে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পরেছে তার প্রেক্ষিতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে বনগাঁর বেশিরভাগ কাউন্সিলরদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে শঙ্কর আঢ্যকে সোমবারে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত শঙ্কর বাবুর পদত্যাগ এর বিষয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি ৷ সাধারন মানুষ নজড় রাখছেন গোটা পরিস্থিতির উপর। উত্তর২৪পরগনা জেলার বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন,সবকিছু মানুষ সঠিক সময়ে জানতে পারবেন৷