দেশের সময়, বনগাঁ: সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে বনগাঁয় ফের রমরমিয়ে চলছে স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা। এরই প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে সরকারি নির্দেশিকা কার্যকরী করার দাবিতে আজ থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করল গৃহ় শিক্ষকদের সংগঠন। আজ তারা বনগাঁর এডিআই অফিসে ফের আর এক দফা স্মারকলিপি জমা দিলেন।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের নাম হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা ওয়েস্টবেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বনগাঁ মহাকুমা কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে আর টি ই অ্যাক্ট সেকশন ২৮, ২০০৯ এ বলা আছে, কোন স্কুল শিক্ষক ব্যক্তিগত লাভ এ গৃহশিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর গত বছরের পয়লা ডিসেম্বর নতুন করে একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই বিষয়টি বনগাঁর ক্ষেত্রে কার্যকরী না হওয়ায় স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধের দাবিতে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সংগঠনের পক্ষ থেকে বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
এই স্মারকলিপিতে তারা বনগাঁর ১১টি স্কুলের মোট ৫৪ জন শিক্ষকের নামের তালিকা জমা দেন, যারা স্কুলে চাকরি করা সত্ত্বেও প্রচুর পরিমাণে গৃহ শিক্ষকতা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। সংগঠনের দাবি ৬ মাস কেটে গেলেও স্কুল শিক্ষা দপ্তর তথা বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর সেভাবে কোন পদক্ষেপ করেনি। যার ফলে বনগাঁর বেশ কিছু স্কুল শিক্ষক রমরমিয়ে তাদের গৃহশিক্ষকতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে তারা আজ, সোমবার নতুন করে এডিআই অফিসে স্মারকলিপি জমা দিলেন। সংগঠনের পক্ষে জিবেশ বিশ্বাস, দেবদাস দেবরা জানালেন, নীতি বিসর্জন দিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বনগাঁ মহকুমার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন, যা সবটাই কালো টাকা হিসেবে চিহ্নিত। এই ধরনের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আমরা নতুন করে আন্দোলনে নেমেছি।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। এ ব্যাপারে বনগাঁর অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক দিব্যেন্দু পাল জানান, ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে নতুন করে সরকারি নির্দেশিকা মেল করে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুল গুলি যদি তাদের শিক্ষকদের সাবধান না করে তাহলে সেইসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।