দেশের সময়, বনগাঁ: ঢাক, ডঙ্কার শব্দে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বনগাঁ মহকুমার ৪ বিজেপি প্রার্থী। শহরের তিন দিক থেকে আলাদা আলাদাভাবে মিছিল এসে মিলিত হয় বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে সামনে। তারপর সেখান থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ৪ প্রার্থী।
বনগাঁ মহকুমার বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ এবং গাইঘাটা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যথাক্রমে বিশ্বজিৎ দাস, অশোক কীর্তনীয়া, স্বপন মজুমদার এবং সুব্রত ঠাকুর। দলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন ৪ প্রার্থী একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তবে বাগদা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস তাঁর অনুগামী এবং দলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বাগদা রোড ধরে বনগাঁ শহরে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে হাজির হন বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে। অন্যদিকে, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী স্বপন মজুমদার চাকদা রোড ধরে আসেন।
এর পাশাপাশি বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার প্রার্থী সুব্রত ঠাকুর একত্রিত হন বনগাঁর এক নম্বর রেলগেটে। সেখান থেকে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দপ্তরে আসেন। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল।
দেবদাস মন্ডল এদিন অভিযোগ করেন যে, তাঁদের এই মিছিল যশোর রোড ধরে বাটা মোড়, রাখালদাস সেতু, মতিগঞ্জ হয়ে বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে যাওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ তাঁদের মিছিল বাটা মোড়ে আটকে কোর্ট রোড দিয়ে ঘুরিয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে আসতে বাধ্য করে।
বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু বিকাশ বৈরাগী এবং প্রার্থী অশোক কীর্তনীয়াকে এদিন ঢাকা বাজাতে দেখা যায়। এদিন প্রচুর মতুয়া ভক্ত এই মিছিলে ডঙ্কা নিয়ে হাজির হন। তাঁদের ডঙ্কার আওয়াজে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে এদিন বিজেপির বিশাল জনস্রোত তৈরি হয়। বিজেপির এই জনস্রোত দেখে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করেছেন, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বনগাঁ মহকুমার ৪ বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হচ্ছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।