দেশের সময়,বনগাঁ: ‘বসন্ত এসে গেছে, বনগাঁয় এবার পলাশ ফুটবে’- নামকরণের মধ্যেই এক অন্যরকম বার্তা। বসন্ত উৎসবের দিন সেই বার্তাই এলাকার মানুষের কাছে অভিনব কায়দায় পৌঁছে দিলেন বনগাঁ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে সিপিএম প্রার্থী পীযূষ কান্তি সাহা।
শাস্ত্র মেনে রাধাকৃষ্ণের দোল উৎসবে মেতে ওঠে গোটা দেশ। আর এই দিনেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের সূচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসা এই বসন্ত উৎসবকে ঘিরে মেতে ওঠে আম বাঙালি।
এখন রাজ্যে নির্বাচনী আবহ। এই পরিস্থিতিতে এই বিশেষ দিনটিকে স্বাভাবিকভাবেই কাজে লাগাতে চান রাজনৈতিক দলগুলি। এইদিনটিকেই সামনে রেখে অভিনব কায়দায় প্রচার সারলেন জোটপ্রার্থী পীযূষ কান্তি সাহা। এদিন সকালে বনগাঁর এক নম্বর রেলগেট থেকে যশোর রোড, কোর্ট রোড, ত্রিকোণ পার্ক, মতিগঞ্জ হয়ে সাহাপাড়ায় তাঁর বাসভবনের সামনে এসে এই ভোট প্রচার শেষ হয়।
বসন্ত উৎসবের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পথে বিভিন্ন জায়গায় হয় ছোট ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিনের প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম ছাত্র-যুব প্রতিনিধিরা নিজেরা আবিরে রেঙে অপরকে আবির এবং সংগীতের মাধ্যমে রাঙিয়ে দেন। একইসঙ্গে প্রার্থী পীযূষ কান্তি সাহা পথচলতি মানুষের পাশাপাশি পথের দুধারের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ ব্যাপারে পীযূষবাবু বলেন, ‘বসন্ত উৎসব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কারণে মূলত বাঙালীদের কাছে এক অন্যরকম দিন। আর সেদিনটিকে সামনে রেখে মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার ইচ্ছেতেই এমন উদ্যোগ। এদিনের প্রচার কর্মসূচিতে ‘বসন্ত এসে গেছে, বনগাঁয় এবার পলাশ ফুটবে’- এই শিরোনামে যে ব্যানার তৈরি করা হয়েছিল, তার তাৎপর্যও রয়েছে। আসলে প্রার্থী পীযূষ কান্তি সাহার ডাকনাম পলাশ। আর বসন্তের সঙ্গে পলাশের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই নিজের জয়ের আশাকে সামনে রেখে নিজের নামের সঙ্গে পলাশ ফুলকে জড়িয়ে এদিন সেই জয়ের বার্তাই দিলেন প্রার্থী।