দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক:ডিসেম্বর মাস পড়তেই শহর জুড়ে বড়দিনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। শহরের বড় থেকে ছোট হোটেল, রেস্তোঁরা এবং রাস্তার ধারের অস্থায়ি দোকানে পসার সাজিয়ে বসেছে হরেকরকমের কেক ও পেস্ট্রি। চলছে কেক মিক্সিং উৎসবও। কিন্তু সেইসব কেক,পেস্ট্রি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তার ওপর নজরদারি চালাচ্ছে পুর স্বাস্থ্য দপ্তর। মঙ্গসবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, নিয়মিত অভিযান তো চলছেই। বড়দিন থেকেই শুরু উৎসবের মরসুম। এইসময় মানুষ বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। কলকাতার বাইরে থেকেও আসেন অনেকে। রাস্তার খাবারদাবার কিনে খেয়ে থাকেন। দেদার বিক্রি হয় কেক, পেস্ট্রি ।
কেকের কারখানাগুলিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেইসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত কিনা খতিয়ে দেখতেই পুর স্বাস্থ্য দপ্তর অভিযান চালাচ্ছে। পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে খাবারের নমুনা। পরীক্ষায় ক্ষতিকর কিছু পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। ডিসেম্বর মাস মানেই কেক, পেস্ট্রি। তাই কেকের দোকান,কারখানায় অভিযান। এইসময় শহরের বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় আসেন। চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া থেকে নিউমার্কেট সবর্ত্রই রাস্তার ধারে অনেক অস্থায়ি খাবার দোকান বসে। সেইসব দোকানের খাবারের নমুনাও নিয়মিত সংগ্রহ করা হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। শহরে ঘুরছে পুরসভার ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারও। মূলত সচেতনতা বাড়াতেই এই অভিযান চালানো হয়। পুর অফিসারদের বক্তব্য কেকে সাধারণত ক্ষতিকর কিছু মেশানো হয় না। তবে অসচেতনতা থেকে অনেক সময় কেকের মধ্যে পেরেক বা ইটের টুকরো মেলার অভিযোগও শোনা যায়। তাই আরও সচেতন করে তুলতে পুর উদ্যোগে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরকম কিছু পেলে পুরসভা কড়া ব্যবস্থা নেবে। এবার বড়দিনের কেকের ওপরও নজর কলকাতার পুরসভার এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন জেলায়,গ্রামে গঞ্জে একেবারেই অস্বাস্থ্য কর পরিবেশে অত্যাধুনিক পদ্ধতি ছাড়াই প্রস্তুত হয় হাজার হাজার কেক৷ আর সেই সমস্ত কেক বিষেশ ভাবে প্যাকিং হয়ে ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন শহরের বাজার গুলিতে। পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বড়দিনের এই সময় রমরমিয়ে ব্যাবসা করে চলেছেন এক দল অসাধু ব্যাবসায়ী এমনই অভিযোগ সাধারণ মানুষের৷ কলকাতার মতো জেলা শহরের পুরসভা ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকেরা কতটা এ বিষয়ে নজড় দেন এখন সেটাই দেখার৷