দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বর্ষীয়ান পরিচালক মৃণাল সেনের জীবনাবসান। রবিবার ভবানীপুরে নিজের বাড়িতে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে. ভুগছিলেন মৃণাল সেন৷ রবিবার সকালে ,হৃদ রোগে আক্রান্ত. হয়ে মৃত্যু হয় এই বর্ষীয়ান পরিচালকের৷
ভারতীয় চলচ্চিত্রের নিউ ওয়েভ সিনেমার পুরোধা ছিলেন তিনি। ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম। স্কটিশচার্চ কলেজে পড়াশোনা। ছাত্রাবস্থা থেকেই কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। আজীবন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। যুক্ত ছিলেন ইন্ডিয়ান পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে। ১৯৫৫ সালে রাত ভোর সিনেমা দিয়েই চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ পরিচালক মৃণাল সেনের। এই সিনেমাতেই অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার। যদিও তিনি তখন সুপারস্টার উত্তম হয়ে ওঠেননি।
এরপর নীল আকাশের নীচে ( ১৯৬৯ সালে ভুবন সোম, পদাতিক(১৯৭৪), একদিন প্রতিদিন(১৯৭৯), বাইশে শ্রাবণ(১৯৬০) তাঁর একাধিক বিখ্যাত ছবির মধ্যে কয়েকটি। ভুবন সোম তাঁকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছিল। একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর পরিচালিত সিনেমা। ১৬টি ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আকালের সন্ধানে সিনেমার জন্য পেয়েছিলেন ফিল্ম ফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ১৯৮১ সালে পেয়েছিলেন পদ্মভূষণ। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সংসদে সাম্মানিক সদস্যপদে ছিলেন তিনি। আজীবন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ নেননি তিনি। ২০০২ সালের পর থেকেই তেমন সক্রিয়ভাবে সিনেমা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকতেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসক আসার আগেই মৃত্যু হয়। তাঁর ইচ্ছে মতই রবীন্দ্রসদন অথবা নন্দনে দেহ রাখা হবে না। ছেলে শিকাগোয় থাকেন। তিনি এলে শেষকৃত্য হবে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পিস হাভেনে থাকবে মরদেহ।
ভুবন সোম তাঁকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছিল। একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর পরিচালিত সিনেমা। ১৬টি ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আকালের সন্ধানে সিনেমার জন্য পেয়েছিলেন ফিল্ম ফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ১৯৮১ সালে পেয়েছিলেন পদ্মভূষণ। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সংসদে সাম্মানিক সদস্যপদে ছিলেন তিনি। আজীবন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ নেননি তিনি। ২০০২ সালের পর থেকেই তেমন সক্রিয়ভাবে সিনেমা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকতেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসক আসার আগেই মৃত্যু হয়। তাঁর ইচ্ছে মতই রবীন্দ্রসদন অথবা নন্দনে দেহ রাখা হবে না। ছেলে শিকাগোয় থাকেন। তিনি এলে শেষকৃত্য হবে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পিস হাভেনে থাকবে মরদেহ।
১৯৬৯ সাল। আর পরিচালক মৃণাল তাঁর ছবির জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন এমন একজনকে, যাঁর কণ্ঠস্বর গোটা ভুবনকে মোহিত করবে। সেলসের চাকরির ফাঁকে স্টুডিও পাড়ায় তাঁর যাতায়াতের কথা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে আগেগেও বলেছেন বিগবি। বর্ষীয়ান পরিচালক মৃণাল সেন-এর জীবনাবসানের পর শোক বার্তায় টুইট করে জানালেন,মৃণাল সেন পরিচালিত ভুবন সোম ছবির ভয়েস ওভারই তাঁর প্রথম কাজ।
প্রবাদপ্রতিম এই চিত্র পরিচালকের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, “বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক মৃণাল সেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ৯৫ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি শ্রী সেনের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
Mamata Banerjee
✔@MamataOfficial
@MamataOfficial
Saddened at the passing away of Mrinal Sen. A great loss to the film industry. My condolences to his family