দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ  একটা সময় হিন্দি ছবিতে একটা ডায়লগ খুব চলত। তা হলো– “সুবহ কা ভুলা, শামকো ওয়াপাস আয়ে, তো উসে ভুলা নেহি কহতে।”
বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছিলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। তারপরেই তাঁকে তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠান রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। বক্সীদার বাজখাই গলা! বেচারাম ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বক্সীদার একরকম বকুনিতেই বেচাদা আবার ঘরে ফিরলেন!

অভিমান হয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতা বেচারাম মান্নার। সিঙ্গুরে প্রথম আলু উঠলে মাথায় করে দিদির বাড়িতে পৌঁছে দিতেন বেচা। বেচারাম কত বার বলেছেন, দিদি কচি উচ্ছে ভালবাসেন বলে মাঠে উচ্ছে উঠলেই আগে তাঁর কাছে দিয়ে আসেন তিনি। সেই বেচার অভিমান হয়েছিল।

সম্প্রতি হুগলির বিভিন্ন ব্লকের ব্লক সভাপতিদের নাম ও জেলা কমিটি ঘোষণা করে তৃণমূল। তাতে দেখা যায় সিঙ্গুরের যিনি ব্লক সভাপতি ছিলেন সেই মহাদেব দাসকে সরিয়ে সেখানে সভাপতি করা হয়েছে গোবিন্দ ধাড়াকে। সেই থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।


মহাদেব ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী। বর্তমান সভাপতি গোবিন্দবাবু আবার বেচারামের লোক বলে পরিচিত। তাঁর লোককে সরিয়ে দিতেই ক্ষোভ উগরে দেন মাস্টারমশাই। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাঁরা নেতৃত্ব দেবেন, আর যাঁরা সৎ ভাবে রাজনীতি করেন তাঁদের জায়গা নেই! এই অপমান মেনে নেব না। দল যদি সভাপতি বদল না করে তাহলে অন্য দলে যাওয়ার কথা ভাবব।”


এরপর গতকাল নাকি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বেচাকে ফোন করে বলা হবে, সিঙ্গুরে ফের মহাদেবকে সভাপতি করা হবে তিনি যেন তা মেনে নেন। বেচা তখন বলেন, এটা তাঁর পক্ষে মানা সম্ভব নয়। হরিপালের বিধায়কের ঘনিষ্ঠরা এও বলেন, দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছিল, বিধানসভাতেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে না। এরপরেই নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন বেচা। সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ইস্তফা দেবেন। শেষমেষ ঘরে ফিরলেন বেচা৷হরিপালের বিধায়কের অভিমানের পালা আপাতত শেষ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here