দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে আউরাইয়া জেলায় দুটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ২৪ জন শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যেও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত ৩টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন বলে খবর। রাজস্থান থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন অনেক পরিযায়ী শ্রমিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন যে একটি ট্রাকে জোর করে উঠে পড়েন তাঁরা। ট্রাকটি খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। পথেই অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সেটির।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যায় পুলিশ। পাঠানো হয় অ্যাম্বুলেন্সও। স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে আসেন সাহায্যের জন্য। আহতদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাঁদের চোট হালকা তাঁদের সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁদের খাবার দিয়ে সাহায্য করে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদের দেহ উদ্ধার করে সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে শ্রমিকদের ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র।
এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “আউরাইয়া জেলায় যে দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার সব খবর মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে গভীর সহানুভূতি জানিয়েছেন তিনি। আহতদের সব রকমের চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হবে। কানপুরের আইজি ও কমিশনারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার কারণ জেনে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর জেলায় একটি সরকারি বাসের ধাক্কায় ছয় শ্রমিক প্রাণ হারান। তাঁরা পঞ্জাব থেকে হেঁটে বিহারে ফিরছিলেন। বাসের চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই সপ্তাহেই পথ দুর্ঘটনায় আরও চার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে এক মহিলা ও তাঁর মেয়েও রয়েছেন। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়া ১৬ পরিযায়ী শ্রমিককে পিষে দেয় একটি মালগাড়ি। তারপর থেকে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।