পিয়ালী মুখার্জী , কলকাতা : বৃষ্টির চাদর পরে বঙ্গে এলো শীতের আমেজ। জানান দিলো পৌষের মিঠে রোদ আসন্ন। আর শীত মানেই বড়দিন। আর বড় দিন মানেই বিভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু কেক। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি যে কোনো উৎসবকেই আপন করে নিতে পারে খুব সহজেই। তেমনই এক নাম কলকাতার বুকে অর্পিতা চক্রবর্তী।
শনিবার মুকুন্দপুরের নয়াবাদে অর্পিতার ফস্টেড ক্রাউনের পক্ষ থেকে হয়ে গেল কেক মিক্সিং উৎসব। যদিও এটা ছিল পাশ্চাত্যের ঐতিহ্য কিন্তু এখন তা আমাদের রাজ্য তথা কলকাতার অঙ্গ। বাঙালির ১৩ পার্বণের-ই একটি সুন্দর এক ঘরোয়া পরিবেশে বসেছিল এই কেক তৈরির আসর।
অর্পিতা জানালেন প্রতি বছর তিনি আয়োজন করেন এই কেক মিক্সিং ও কেক তৈরির কর্মশালা। সারা বছর যারা তার কাছে বেকিং শেখে সেই ছাত্রীরাও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এদিন এই উৎসবে। অর্পিতা কেক মিক্সিং সম্পর্কে জানান বিভিন্ন ধরণের বাদাম, বেরি, ড্রাইফ্রুটস, টুটিফ্রুটি মোরব্বা ইত্যাদি আরো নানা উপকরণ একসাথে করে ভেজানো হয় রাম অথবা ওয়াইন এর মিশ্রনে।
পরে এই মিশ্রণ ব্যাবহার করা হয় পাম কেক বা ফ্রুট কেকে। যত বেশি দিন এগুলো ওয়াইন ভেজানো থাকে সেই কেকের স্বাদ তত ভালো হয়। তিনি আরও জানালেন এই উৎসব সাধারণত করা হয় বড় বড় হোটেল বা রেস্টুরেন্টে। কিন্তু তিনি হোম বেকার হয়ে এই উৎসব টি শুরু করেন। অর্পিতার কথায় তিনি বাঙালির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার পান কেকের।
বিয়ের কেক থেকে শুরুকরে জন্মদিনের কেক সবই খুব জনপ্রিয়। আজ কর্মশালায় গিয়ে দেখা গেল তার ছাত্রীরা কেক বেকিং থেকে মিক্সিং, করবার খুব উৎসাহ নিয়ে শিখলেন অর্পিতার অন্তরিক সহযোগিতায়। কর্মশালা শেষে প্রত্যেক কে শংসা পত্র প্রদান করা হয়।
এদিন ফস্টেড ক্রাউনের কর্ণধার অর্পিতা চক্রবর্তী ছাত্রীদের শেখালেন ব্লন্ডি কেক যা তিনি জানালেন ব্রাউনির মতোই কিন্তু এটি হোয়াইট চকোলেট এ বানানো হয় আর এতে মাখনের পরিমান বেশি থাকে ফলে সেটি বেশি সুস্বাদু। শেখালেন কেকের ডেকোরেশনও রসমালাই কাপ কেক দিয়ে। কেক ছাড়াও মুর্গ মালাই কাবাব বানিয়ে দেখালেন। ছিল নতুন রকম ডেজার্ট কফি পানাকোটা।
সব শেষে সবাই মাতলেন কেক মিক্সিং উৎসবে।
সব ছাত্রীরা এবং অর্পিতা নিজের হাতে করে দেখালেন সেই পদ্ধতি। সুন্দর করে সাজানো পরিবেশে রূপ দেওয়া হয়েছিল ক্রিসমাসের। ছিল ঘরে নিজের হাতে বানানো চকোলেট। সমস্ত পদ পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হলো এ বছরের ফস্টেড ক্রাউনের কর্মশালা ও উৎসব।