দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় স্বস্তি পেল রাজ্য। মেধাতালিকা প্রকাশের পরেও নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিল। অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের উপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ। জানিয়ে দেওয়া হয় যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ থাকবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে যেসব প্রার্থী নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে কাজে যোগ দিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরাও আজ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। এই আবেদনের ভিত্তিতেই ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য কিছু শর্তও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ৮৩০ জন মামলাকারী সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন নিয়োগে স্থগিতাদেশের জন্য। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সেই সংখ্যাটা ফাঁকা রেখে আপাতত নিয়োগ করতে হবে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে মেধা তালিকা শুধু ওয়েবসাইটে নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ডিআই অফিসে টাঙাতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত অন্যান্য মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৪ সালে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেটের এই পরীক্ষা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার পরে এতদিনে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরইমধ্যে নিয়োগ তালিকা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে আদালতে দায়ের হয় মামলা।
মামলাকারীদের মূল বক্তব্য ছিল, এমন অনেক প্রার্থীর কাছে নিয়োগপত্র গিয়েছে, যাদের নাম মেধাতালিকাতে ছিল না। এর বাইরেও একাধিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে এই তালিকা ঘিরে। এর পরই আদালত সবদিক খতিয়ে দেখে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয়। এর ফলে যাদের কাছে নিয়োগপত্র পৌঁছেছে, সেগুলিও এখন কার্যকর হবে না বলেই জানিয়ে দেয় আদালত। সেই রায়কেই এদিন স্থগিত করল ডিভিশন বেঞ্চ।