দেশের সময় ওয়েব ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী জইশের কমান্ডার আবদুল রশিদ গাজি এখনও কাশ্মীরেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে গোয়েন্দারা। জইশের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ গাজি গত ডিসেম্বরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে ঢোকে। এই গাজিই আদিলকে প্রশিক্ষণ ও মগজধোলাই দিয়ে ফিদায়েঁ হামলার জন্য তৈরি করেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন গোয়েন্দারা। জইশ ছাড়াও আই এসের হয়েও কাজ করে গাজি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সে একাধিক প্রশিক্ষণ শিবিরের মাথা।

এই মুহূর্তে পুলওয়ামা, সোপিয়ান-সহ দক্ষিণ কাশ্মীরে চলছে নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর চিরুণি তল্লাশি। মাছি গলতে না পারার মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সব জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে গাজি সেনাবাহিনীর জালে পড়ে কি না সেটাই এখন দেখার।

সিরিয়াতে আই এস পিছু হটেছে। কিন্তু জইশের আক্রমণের কায়দা, পরিকল্পনা, সবকিছুতেই আইএসের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন কাশ্মীরে সক্রিয় ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো।

পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফের কনভয়ের উপর হামলায় তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে দেশ। কাশ্মীর উপত্যকা থমথমে। পুলওয়ামায় জনজীবন কার্যত স্তব্ধ। চলছে চিরুণি তল্লাশি। গোয়েন্দাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেই অনুযায়ী গাজি আগে তালিবানের হয়ে নাশকতার কাজ করত। সে বিস্ফোরক তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। ২০১১ সালে আফগানিস্তান থেকে গাজি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে। নানা ধরনের বিস্ফোরক ও লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে সে মাসুদ আজহারের বিশ্বস্ত জিহাদি হয়ে ওঠে। ২০১১ সালের আগে গাজি আফগানিস্তানের খাইবার পাশতুন এলাকায় তালিবানদের কমান্ডার ছিল।
কাশ্মীর উপত্যকায় যে জইশ ই মহম্মদ বড়সড় হামলা করতে পারে সে ইঙ্গিত আগেই ছিল। মাসুদের দুই ভাইপো উসমান ও তালহা কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায়। সেই সময়েই মাসুদ বলেছিল, তারা এর প্রতিশোধ নেবে। সেই প্রতিশোধের দায়িত্বই সে তার ঘনিষ্ঠ গাজিকে দিয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। স্থানীয় যুবকদের টাকা ও জন্নতের লোভ দেখিয়ে তাদের মগজধোলাই করে বিস্ফোরক তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে গাজি।তারই খোঁজে চলছে চিরুণি তল্লাশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here