দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ: ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিকেলে সেই তালিকা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীরা। সেই সাংবাদিক বৈঠকেই পার্থবাবু জানিয়ে দেন, এবার কোনও পুরসভায় বিধায়কদের প্রার্থী করা হয়নি।
তৃণমূলে এইরকম অনেক নেতা রয়েছেন যাঁরা চেয়ারম্যান ও বিধায়কের যৌথ দায়িত্ব পালন করেছেন। একুশের বিধানসভা ভোটে অনেক চেয়ারম্যানকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। তাঁরা অনেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু এবার পুরভোটে আর তাঁদের টিকিট দিল না শাসকদল। পার্থবাবু জানিয়েছেন, নতুনরা যাতে সুযোগ পান এবং একজন যাতে একাধিক দায়িত্বে না থাকেন সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের মহাসচিব এদিন আরও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রশ্নে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তা হল, একই পরিবারের যেন অনেকে না প্রার্থী হন। অর্থাৎ পুরসভা স্তরে নেতাদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে–সবাইকে প্রার্থী করে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ যাতে নতুন করে দলকে অস্বস্তিতে না ফেলে সে ব্যাপারে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল কালীঘাট।
প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তরুণ প্রার্থীদের দিকে। সামান্য কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেগুলিও কয়েকদিন মধ্যে ঘোষিত হবে। যাঁরা জয়ী কাউন্সেলর আছেন, তাঁদের বেশিরভাগকেই প্রার্থী করা হয়েছে, পাশাপাশি এসেছে অনেক তরুণ মুখ। নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে এই প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে, বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল এখন বড় দল। ফলে অনেককে প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নইলে, একজনই বিধায়ক, কাউন্সিলর সব হলে বাকিরা বন্ধনীর বাইরে থাকবেন। তাতে দলে অসন্তোষ বাড়বে ছাড়া কমবে না। হতে পারে সেসব ভেবেই প্রার্থী করার বিষয়ে এই মৌলিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
পার্থবাবু এদিন আরও জানিয়েছেন, অনেক পুরনো কাউন্সিলর টিকিট পেয়েছেন। আবার বহু আসনে নতুন মুখ আনা হয়েছে। নবীন, প্রবীণের ভারসাম্য রক্ষা করেই এই প্রার্থী তালিকায় সিলমোহর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।