দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ অশনি সঙ্কেতের কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার আরও অবনতি হতে চলেছে। আর আগামী রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
নিম্নচাপের ফলে ফের শুরু হতে পারে ভারী বৃষ্টি । গত তিন-চারদিন ধরে যে বৃষ্টিপাত চলেছে তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের জলমগ্ন দশা কবে কাটবে তা যখন অনিশ্চিত তখন ফের টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে নবান্নের। রাজ্য সরকারের আশঙ্কা বর্ষার শেষ লগ্নের বৃষ্টিতে বানভাসী হতে পারে বাংলা।
পরিস্থিতির কথা আন্দাজ করে ইতিমধ্যেই বর্ষা শেষের বৃষ্টি নিয়ে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে নবান্ন। বুধবার জেলাশাসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের .সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সূত্রের খবর, এদিন জেলাশাসকদের এক, দুই, তিন করে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। শনিবার থেকে যে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে তার জন্য এখন থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই উদ্যোগ এখন থেকেই জেলাগুলিকে করতে হবে। ত্রাণসামগ্রীও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
সরকারের সমস্ত সিস্টেমকে এখন থেকেই সক্রিয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, সেচ দফতরের সঙ্গে যেন জেলা প্রশাসনগুলি সবসময় সমন্বয় রাখে। বাঁধ যাতে কোনও ভাবেই না ভেঙে পড়ে। নবান্নের কড়া নির্দেশ, যে বাঁধগুলি অপলকা অবস্থায় রয়েছে সেগুলি চিহ্নিত করে এই দু’তিন দিনের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্থায়ী ভাবে শক্ত-পোক্ত কাজ করার বন্দোবস্ত করতে হবে।
হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসের ফলে পুজো কেমন যাবে তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, শনিবার থেকে যদি মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় এবং তা যদি এক সপ্তাহ চলে তাহলে অক্টোবরের গোড়া পর্যন্ত সেই বিপর্যয় চলবে। এবং তার ফলে যে বানভাসী অবস্থা তৈরি হবে তা পুজোর মধ্যে কতটা স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকছেই। কেন না ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী। হাওড়া, কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি, দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ রয়েছে যেখানে জল নামতে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
স্মরণাতীত কালে বাংলায় যে দু’বার বিধ্বংসী বন্যা হয়েছিল (১৯৭৮ ও ২০০০ সালে) তার কারণ ছিল সেপ্টেম্বরের শেষ দিকের ভয়াবহ বৃষ্টি। এবারেও সেই একই আশঙ্কা রয়েছে। যা নিয়ে গভীর উদ্বেগে রাজ্য সরকার।